সিলেটে ৭৭টি ইউপি নির্বাচনে নৌকায় যারা বিজয়ী হলেন

সিলেট বিভাগে তৃতীয় ধাপে ৭৭ টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাবন সুষ্টভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ২৮ নভেম্বর (রোববার) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহণ চলে। এ সময়ে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও আনসার সদস্যদের পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করেন। ফলে বিভাগের কোথাও বড় ধরণের সংঘাত-সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়নি। ভোট গণনা শেষে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসাররা রাতেই বেসরকারি ভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন। এর মধ্যে হবিগঞ্জ সদর ব্যতীত বিভাগের ৬৯ টি ইউনিয়নের প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী ২৭ ইউনিয়নে নৌকা, ১৫ ইউনিয়নে আ’লীগের বিদ্রোহী, ১৩ ইউনিয়নে বিএনপির সমর্থক স্বতন্ত্র এবং অপর ১৪ ইউনিয়নে জাতীয় পার্টি ও জাসদসহ অন্যরা বিজয়ী হয়েছেন। এর মধ্যে সিলেট জেলায় নৌকার জয়জয়কার হলেও সুনামগঞ্জ সদরে নৌকার চরম ভরাডুবি হয়েছে।

সিলেট জেলার ১৬টি ইউনিয়নের মধ্যে ৯টি আওয়ামী লীগ, ৩টি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী, ২টি স্বতন্ত্রের ব্যানারে বিএনপি ও একটি করে জাতীয় পার্টি ও জাসদ নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেন।

৩য় ধাপের ইউপি নির্বাচনের ফলাফল হচ্ছে :
দক্ষিণ সুরমা: উপজেলার ৫ ইউনিয়নের মধ্যে ৪টিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী এবং একটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। আওয়ামী লীগের বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন, সিলাম ইউনিয়নে শাহ ওলিদুর রহমান (নৌকা), লালাবাজারে তোয়াহিদুল হক তুহিন (নৌকা), জালালপুরে ওয়েছ আহমদ (নৌকা) ও দাউদপুর ইউনিয়নে আতিকুল হক আতিক (নৌকা)। পাশাপাশি মোগলাবাজার ইউনিয়নে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম সাইস্তা। এদিকে, এক বিবৃৃতিতে আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যানদের অভিনন্দন জানিয়েছেন দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ সাইফুল আলম।
জৈন্তাপুর: উপজেলার ৫ ইউনিয়নের মধ্যে দু’টিতে আওয়ামী লীগ, একটি করে বিএনপি, জাসদ ও জাতীয় পার্টির নেতারা জয়ী হয়েছেন।
জৈন্তাপুর ইউনিয়নে জাতীয় পার্টি নেতা ফখরুল ইসলাম (আনারস) ৫৪৬৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আলমগীর হোসেন (ঘোড়া) পেয়েছেন ৩৭৪১ ভোট। চারিকাটা ইউনিয়নে জাসদ নেতা (দুটি পাতা) সুলতান করিম ৪৫৮২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রর্থী শাহ আলম তোফায়েল (অটোরিক্সা) পেয়েছেন ২২১৫ ভোট। দরবস্ত ইউনিয়নে বিএনপি নেতা বাহারুল আলম বাহার (আনারস) ১০ হাজার ১১১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত মো: কুতুব উদ্দিন (নৌকা) পেয়েছেন ৭১৩৯ ভোট। ফতেপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত রফিক আহমদ (নৌকা) ৭৬৯৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আব্দুর রশিদ (ঘোড়া) পেয়েছেন ৪৯৬৩ ভোট। চিকনাগুল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত মো: কামরুজ্জামান চৌধুরী (নৌকা) ২৭৩৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আবু জাকারিয়া মো: আব্দুল বারী পেয়েছেন ২৬৬৫ ভোট।
গোয়াইনঘাট: উপজেলার ৬ ইউনিয়নের মধ্যে ৩টিতে নৌকা, ২টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও একটিতে বিএনপি নেতা জয়ী হয়েছেন। এরমধ্যে, ডৌবাড়ি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এম নিজাম উদ্দিন (ঘোড়া), তোয়াকুল ইউনিয়নে মো. লোকমান আহমদ (নৌকা), নন্দীরগাঁও ইউনিয়নে এস. কামরুল হাসান আমিরুল (নৌকা), ফতেহপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আমিনুর রশিদ চৌধুরী, লেঙ্গুড়া ইউনিয়নে মো. মুজিবুর রহমান (নৌকা) ও রুস্তমপুর ইউনিয়নে বিএনপি নেতা শাহাব উদ্দিন বিজয়ী হয়েছেন।

মৌলভীবাজারের বড়লেখা: উপজেলার ১০ ইউনিয়নে গতকাল শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে ৫ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নৌকা, ৩ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও ২ ইউনিয়নে বিএনপি নেতারা জয়ী হয়েছেন। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বড়লেখা সদর ইউনিয়নে সালেহ আহমদ জুয়েল (নৌকা), দক্ষিণ শাহবাজপুরে নাহিদ আহমদ বাবলু (নৌকা), উত্তর শাহবাজপুরে রফিক উদ্দিন আহমদ (নৌকা), নিজ বাহাদুরপুরে ময়নুল হক মাস্টার (নৌকা), দক্ষিণভাগ উত্তরে এনাম উদ্দিন (নৌকা), তালিমপুরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এখলাছুর রহমান, দাসের বাজারে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী স্বপন কুমার চক্রবর্তী, দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আজির উদ্দিন, বর্ণি ইউনিয়নে বিএনপি নেতা জয়নাল আবেদিন (আনারস), সুজানগর ইউনিয়নে বিএনপি নেতা বদরুল ইসলাম (আনারস) বিজয়ী হয়েছেন।
কুলাউড়া: উপজেলার ১৩ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন গতকাল সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এরমধ্যে ৭ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী বিজয়ীরা হলেন, উপজেলার বরমচাল ইউনিয়নে খোরশেদ আলম খান (চশমা), ভাটেরা ইউনিয়নে সৈয়দ এ কে এম নজরুল ইসলাম (আনারস), জয়চন্ডী ইউনিয়নে আব্দুর রহমান মাহবুব (নৌকা), সদর ইউনিয়নে মোছাদ্দিক আহমদ নোমান (নৌকা), কাদিপুর ইউনিয়নে জাফর আহমেদ গিলমান (নৌকা), ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নে মো. মমদুদ হোসেন (নৌকা), রাউৎগাউ ইউনিয়নে আকবর আলী সোহাগ (নৌকা), ভূকশিমইল ইউনিয়নে মো. আজিজুর রহমান মনির (আনারস), শরিফপুর ইউনিয়নে মোঃ খলিলুর রহমান খলিল (চশমা), হাজিপুর ইউনিয়নে ওয়াদুদ বখশ (নৌকা), টিলাগাঁও ইউনিয়নে মো. আব্দুল মালিক (নৌকা), কর্মধা ইউনিয়নে মুহিবুল ইসলাম আজাদ (চশমা) ও পৃথিমপাশা ইউনিয়নে এম জিমিউর রহমান চৌধুরী (অটোরিক্সা)।
নবীগঞ্জ: উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিতরা হলেন, বড়ভাকৈর পশ্চিম ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী রঙ্গলাল দাশ (ঘোড়া), বড়ভাকৈর পূর্ব ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের আক্তার মিয়া ছুবা (নৌকা), ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী নোমান হোসেন (ঘোড়া), দীঘলবাক ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছালিক মিয়া (আনারস), আউশকান্দি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সাবেক চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন (নৌকা), কুর্শি ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ খালেদুর রহমান খালেদ (আনারস), করগাঁও ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নির্মুলেন্দু দাশ রানা (ঘোড়া), নবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের হাবিবুর রহমান হাবিব (নৌকা), বাউশা ইউনিয়নে বিএনপি নেতা ছাদিকুর রহমান শিশু (আনারস), দেবপাড়া ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহ রিয়াজ নাদিম সুমন (চশমা), গজনাইপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ইমদাদুর রহমান মুকুল (আনারস), কালিয়াভাঙ্গা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ইমদাদুল হক চৌধুরী (আনারস), পানিউমদা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বর্তমান চেয়ারম্যান ইজাজুর রহমান (নৌকা)।

সুনামগঞ্জ সদর: উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের ভরাডুবি হয়েছে। এ উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে ২টিতে জাপা, ৩টিতে বিএনপি, ২টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ১টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও ১টিতে জমিয়ত প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। ভোট গণনা শেষে গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১০টায় সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেনে।
প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী, উপজেলার লক্ষণশ্রী ইউনিয়নের বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী তৃতীয়বারের মতো আব্দুল অদুদ (আনারস) ২৯৩৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আব্দুল মান্নান (লাঙ্গল) পেয়েছেন ২২০৭ ভোট। কুরবাননগর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আবুল বরকত (মোটরসাইকেল) ৩০৫২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. শামস উদ্দিন (নৌকা) পেয়েছেন ২৯২১ ভোট। জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী রশিদ আহমদ (লাঙ্গল) ৫৮৩১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আব্দুল কাদির (আনারস) পেয়েছেন ৪৬৮১ ভোট। সুরমা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আমির হোসেন রেজা (চশমা) ৫১৪২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. সিরাজুল ইসলাম (লাঙ্গল) পেয়েছেন ৪৭১০ ভোট। গৌরারং ইউনিয়নে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. শওকত আলী (লাঙ্গল) ৬৯৩২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী শহীদুল ইসলাম (অটোরিক্সা) পেয়েছেন ৪৮৬৭ ভোট। রঙ্গারচর ইউনিয়নে বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী দ্বিতীয়বারের মতো আব্দুল হাই (মোটরসাইকেল) ৪৬৩৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ ফয়জুর রহমান (লাঙ্গল) পেয়েছেন ৪২০২ ভোট। মোল্লাপাড়া ইউনিয়নে বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী নূরুল হক (মোটরসাইকেল) ৩৪২৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুস সালাম (ঘোড়া) পেয়েছেন ৩১৯৯ ভোট। মোহনপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাইনুল হক (মোটরসাইকেল) ৩১৭২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সীতেষ তালুকদার মঞ্জু (নৌকা) পেয়েছেন ২৯২১। কাঠইর ইউনিয়নে জমিয়তুল উলামায়ে ইসলামের মনোনীত প্রার্থী শামসুল ইসলাম (খেজুর গাছ) ১৭৯২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মো. ফারুক মিয়া (লাঙ্গল) পেয়েছেন ১৭৩৯ ভোট।
শান্তিগঞ্জ (সুনামগঞ্জ): উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২টি, বিএনপি সমর্থিত ২টি এবং ৪টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বেসরকারিভাবে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের বিজয়ী চেয়ারম্যানরা হলেন, উপজেলার পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের জগলুল হায়দার (নৌকা), পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের রিয়াজুল ইসলাম রাইজুল (নৌকা), দরগাপাশা ইউনিয়নে বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সুফি মিয়া (চশমা), পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নে বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী লুৎফুর রহমান জায়গীরদার খোকন (চশমা), পূর্ব পাগলা ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মাসুক মিয়া (আনারস), শিমুলবাক ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী শাহীনুর রহমান (আনারস), পাথারিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী শহিদুল ইসলাম (ঘোড়া), জয়কলস ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল বাছিত সুজন (ঘোড়া)।