সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে হাটে-বাজারে তালের শাঁস বেচাকেনার ধুম

জৈষ্ঠ্যের মধুমাসে আম, লিচু, কাঁঠালের মত রসালো না হলেও তালের শাঁস বেশ জনপ্রিয়।
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন হাটে-বাজারে ভ্যানে করে তালের শাঁস বিক্রি করতে দেখা গেছে। প্রচন্ড গরমে মৌসুমী এই ফলের চাহিদাও লক্ষণীয়।

গ্রামের বিভিন্ন স্থান থেকে তালের এ ফল সংগ্রহ করে ভ্যানে বা টমটম ভর্তি করে স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়েও ট্রাক ভর্তি করে নেওয়া হচ্ছে জেলা তথা রাজধানী ঢাকাতে।

সরেজমিনে রবিবার (২২ মে) দেখা যায়, কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের প্রধান বাজারে তালের কাধি বা তাল থেকে উঠানো কচি শাঁসের চাহিদা ব্যাপক।

এদিকে কৃষ্ণনগর বাজারের বিক্রেতা আমিনুর রহমান বলেন, বর্তমানে মৌসুমী ফল হিসাবে তালের আটির ব্যাপক চাহিদা। তিনি প্রতিটি তালের আটি ৩ টা করে বিক্রি করছে। তবে তিনি ছাড়াও আরও কয়েকজন বিক্রেতা এ তালের শাঁস বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন।

ক্রেতা শাহনেওয়াজ সৈকত বলেন, তালের শাঁস একটা সুস্বাদু ফল। জৈষ্ঠ্যের এ তীব্র গরমে তালের শাঁস খেতে ভালোই লাগে। যার ফলে এর চাহিদাও অনেক। তবে কালের বিবর্তনে এ উপজেলায় তথা জেলার বিভিন্ন এলাকার তাল গাছ দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, তাল গাছ থেকে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, তালের শাঁস, তালের রস থেকে গুড় ইত্যাদি আমরা পেয়ে থাকি কিন্তু এ গাছ রোপনের চাইতে বেশি কেটে ফেলা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, এ তালের শাঁস বিভিন্ন স্থানে বা বিভিন্ন এলাকায় তালের আটি, তালের শাঁস, তালের কুই নামেও পরিচিত।
বর্তমান বাজারে মৌসুমী বিভিন্ন ফল বিষাক্ত কেমিক্যাল প্রয়োগ করলেও এ তালের শাঁসে কোন প্রকার কেমিক্যাল প্রয়োগ করা যায় না বলে এর স্বাদ অভিন্ন থাকে এবং শরীরে কোন প্রকার ক্ষতি হয় না বলে জানা গেছে।