সাতক্ষীরায় ৫ চোর ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে গণপিটুনি থেকে রক্ষা পেল

সাতক্ষীরার পায়রাডাঙ্গা গ্রামে রাতের আঁধারে অন্যের ঘেরে জাল ফেলে মাছ ধরছিল ৫জন চোর। এদিকে পাশের ঘেরে পাহারায় থাকা ব্যক্তি টের পেয়ে ঘেরের মালিককে জানান। এসময় ঘের মালিক লোকজন নিয়ে এসে ধাওয়া দিলে তাঁরা পাশের একটি বাড়িতে ঢুকে পড়ে।

কিন্তু যখন বুঝতে পারে তাদের পালানোর সব পথ বন্ধ। ঠিক তখনই গণপিটুনি থেকে বাঁচতে তাঁদের মধ্যে একজন জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন দেন। পরে পুলিশ এসে তাঁদেরকে ঐ বাড়ী থেকে উদ্ধার করে থানা হাজতে প্রেরণ করে।

সোমবার (৩১ অক্টোবর) ভোরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার পায়রাডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

উক্ত ঘটনায় আটককৃত ব্যক্তিরা হলো, সদর উপজেলার পায়রাডাঙ্গা গ্রামের মোস্তাকিন, সাইফুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, হুসাইন বাবু ও শাহারুল ইসলাম।

স্থানীয়রা জানান, পায়রাডাঙ্গার দক্ষিণ বিলে মোসলেম উদ্দিনের পাঁচ বিঘা জমিতে একটি মাছের ঘের রয়েছে। সেই ঘেরে রুই, কাতলা ও মৃগেল মাছ চাষ করা হয়। রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে ঘেরে জাল দিয়ে মাছ ধরতে শুরু করে ওই পাঁচ ব্যক্তি। ওই সময় পাশের ঘেরে থাকা আব্দুল্লাহ ভোর চারটার দিকে মোসলেম উদ্দিনকে বিষয়টি জানান।

এসময় মোসলেম উদ্দিন কিছু লোকজনের সঙ্গে ঘেরে গিয়ে জালসহ ওই ব্যক্তিদের আটক করেন। তারা সঙ্গে সঙ্গে ধাক্কা দিয়ে দ্রুত একটি বাড়িতে অবস্থান নেন ও তালা দিয়ে ভেজা কাপড় খুলে ফেলেন। তখন এলাকাবাসী ওই বাড়িতে অবস্থান নেয়। এরপর ওই পাঁচজন গণপিটুনি থেকে নিজেদের বাঁচাতে জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে সাহায্য চান। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান বলেন, আটক ব্যক্তিদের মধ্যে একজন ৯৯৯-এ কল দিয়ে জানান, তারা খুব বিপদে পড়েছে, পুলিশ যেন তাদের দ্রুত উদ্ধার করে। এরপর পুলিশ সদস্যরা গিয়ে তাদের উদ্ধার করেন। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে মূল বিষয় জানতে পেরে তাদের আটক করে থানায় নেওয়া হয়।