হত্যা মামলার জের : নেত্রকোনার মদনে বাড়িঘর ভাঙচুর, এলাকায় আতঙ্ক

নেত্রকোনার মদনে কারী মিয়া হত্যার জেরে বিবাদী পক্ষের লোকজন বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় তাদের ১৪ জনের বসতঘরে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বাদী পক্ষের বিরোদ্ধে। এ নিয়ে এলাকায় আতষ্ক বিরাজ করছে। গত ২২ জুন সংঘর্ষে আহত কারী মিয়া ময়মনসিংহ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩ জুলাই মারা যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শী কয়েক ব্যক্তি জানান, কারী মিয়ার মৃত্যুর সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে আসামী পক্ষের লোকজন বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়। গৃহকর্তার অনুপস্থিতির সুযোগে বাদী পক্ষের কতিপয় দুষ্কৃতিকারীরা এ ঘটনা ঘটায়। আসামী পক্ষের অভিযোগ তাদের বসত ঘরের যাবতীয় মালামাল তাদের প্রতিপক্ষের লোকজন লুটপাট ও ভাঙচুর করে প্রায় দেড় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি করেছে।

এমন সংবাদের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সরজমিনে উপজেলার শিবপাশা গ্রামে গেলে সুনু ফকির, আবু তালেক, সাজু মিয়া, শহীদ মিয়া, আবুল কালাম আজাদ, মজিবুর, সজিম উদ্দিন, দোলা মিয়া, লাল মিয়া, তাজ্জত মিয়া, গনি মিয়া, নূরুল ইসলাম, শাহাব উদ্দিন, হোসেন মিয়ার বসত ঘর ভেঙে ফেলার দৃশ্য চোখে পড়ে। কোন কোন বাড়ির ভবন ভেঙে ফেলেছে আবার কোন কোন বাড়িতে শুধু টিনের চালা গুলো দাড়িয়ে রয়েছে। চালের টিন গুলো ভাঙ্গারি দোকানে বিক্রি করে দিচ্ছে। কোন বাড়িতে আসামী পক্ষের কোন লোকজন পাওয়া যায়নি।

নিহতদের স্ত্রী নারগিছ আক্তার জানান,আমার স্বামীকে নির্মমভাবে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর থেকে আমার ছেলেদেরকেও হত্যা করে ফেলবে ভয়ে সন্ধ্যার পর সন্তানদেরকে নিয়ে ঘরে থাকি। কে বা কারা বাড়ি ঘর ভাংচুর করছে তা আমি জানি না। আমি আমার স্বামী হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।

এ ব্যাপারে মদন থানার ওসি তদন্ত উজ্জ্বল কান্তি সরকার জানান, কারী মিয়ার নিহত হওয়ার খবর পেয়ে ক্ষোভে তারা বাড়ি ঘর ভাঙচুর করেছে। ওই দিন পুলিশ মোতায়েনের পর আর কোন বাড়ি ঘর ভাংচুর হয়নি। এ ব্যাপারে আসামী পক্ষের লোকজন কোন অভিযোগ দেয়নি।