পেটানো হচ্ছে ধর্ষিতাকে, চলছে সবার উল্লাস!
পেটানো হচ্ছে ধর্ষিতাকে। যেন বেশ আনন্দদায়ক কোনো ঘটনা। সবাই মেতেছে উল্লাসে। সবার মুখে হাসি। বাইরের দেশের নয়, এটা টাঙ্গাইলের নাগরপুরের ঘটনা। গ্রাম্য সালিসে জরিমানা করা হয়েছে ধর্ষক-ধর্ষিতা উভয়কে। ধর্ষিতাকে ১৫ হাজার টাকা, আর ধর্ষককে দ্বিগুণ অর্থাৎ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের শারীরিক শাস্তিও দেওয়া হয়েছে। গ্রাম্য মাতব্বররা এসব রায় দিয়েছেন।
জানা গেছে, শনিবার বিকেলে নাগরপুর উপজেলার মীরনগর গ্রামে মো. চান মিয়ার বাড়িতে এক সালিস বৈঠকে এ রায় দেওয়া হয়। আর এই জরিমানার টাকা স্থানীয় ক্লাবের উন্নয়নে ব্যয় হবে।
জানা যায়, শুক্রবার রাতে মীরনগর গ্রামের জিন্নত আলীর ছেলে মো. সিরাজ মিয়া (৩৫) প্রতিবেশীর স্ত্রীকে এলাকার জনৈক বারেক মিয়ার পাটক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ সময় স্থানীয় লোকজন টের পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ধর্ষক পালিয়ে যান। স্থানীয়রা ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে ইউপি সদস্য মো. হেলাল উদ্দিনের জিম্মায় রাখেন। পরদিন গতকাল শনিবার বিকেলে ইউপি সদস্য মো. হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে এক সালিস বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সালিসে ধর্ষক সিরাজসহ তার অভিভাবককে হাজির করা হয়। সালিসে ধর্ষক ও ধর্ষিতাকে তাদের অভিভাবকের মাধ্যমে শারীরিক শাস্তি দেওয়া হয়। একই সঙ্গে ধর্ষকের ৩০ হাজার ও ধর্ষিতাকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ইউপি সদস্য মো. হেলাল উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযুক্তদের বিচারে তাদের অভিভাবকরা শাসন করেছেন। জরিমানার টাকা স্থানীয় ক্লাবের উন্নয়নে ব্যয় করা হবে।
এ ব্যাপারে নাগরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খান হাসান মোস্তফা বলেন, এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেব আমরা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন