৫২ বছরেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি যশোরের শার্শার এই সড়কটিতে!
স্বাধীনতার বায়ান্ন বছরেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি যশোরের শার্শায় এই সড়কটিতে। এতে প্রতিদিন চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী, রোগীসহ এখানকার কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করণে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। গ্রামবাসি জানান, মাটির এ সড়কটির সংস্কার বা উন্নয়নে বছরের পর বছর আশার বাণী শুনে আসছেন তারা।
যশোর জেলার শার্শা উপজেলার ৭নং কায়বা ইউনিয়নে মহিষা গ্রামে সড়কটির অবস্থান। এই গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র সড়ক এটি। প্রায় দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটিতে স্বাধীনতার পর গত বায়ান্ন বছরেও উন্নয়নের কোনো ছোঁয়া লাগেনি। গ্রামটিতে কমপক্ষে তিন হাজারেরও বেশি মানুষের বসবাস।
গ্রামে রয়েছে সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, কৃষকসহ অনেক শিক্ষার্থী। সড়কটি বর্ষায় ব্যবহারের পুরোপুরি অনুপযোগী হয়ে পড়ায় প্রতিদিন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ সময় রিকশা, সিএনজি অটোরিকশা, ইজিবাইক মটরসাইকেল সহ ছোট ছোট যানবাহন চলাচল একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়। যার কারণে হেঁটেই যাতায়াত করতে হয় গ্রামবাসীকে।
মহিষা গ্রামের রফিক হোসেন জানান, গ্রামের অধিকাংশ বাসিন্দাই কৃষি কাজ করেই জীবিকা নির্ভর করেন। কাছাকাছি দূরত্বে থাকাই পাইকারি তরকারির বাজার বাগআঁচড়া বাজারে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসল বিক্রি করেন।
কৃষক সহিদুল ইসলাম জানান, সড়কটিতে যান চলাচলের অসুবিধার কারণে আমাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারে নিয়ে যেতে শ্রমিকদের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। এজন্য অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। ফলে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে কৃষকদের। বর্ষার পুরো সময়ই সড়কটি ব্যবহারের অনুপযোগী থাকায় রোগী, বয়স্ক মানুষ, কিংবা অসুস্থ গর্ভবতী মহিলাদেরও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কখনো জরুরি প্রয়োজনে রিকশা, সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে রোগীদের বহনে অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হয়।
মহিষা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক রওশন আলী জানান, গ্রামবাসি, অসুস্থ রোগী, স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীরাদের রাস্তাটি ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ায় দ্রুত সরকারের নিকট দ্রুত পাকাকরণের দাবি জানান।
মহিষা গ্রামের আবু বকর জানান, এ সড়ক পথেই রয়েছে মহিষা প্রাথমিক বিদ্যালয়, মহিষা পীর আব্দুস ছোবহান আলিম মাদ্রাসা, চালতাবাড়িয়া আর ডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বাগআঁচড়া আফিল উদ্দিন ডিগ্রী কলেজ, কায়বা ইউনিয়ন পরিষদ, ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্র, ইউনিয়ন ভূমি অফিস, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ৬টি প্রাইভেট হাসপাতাল, বাগআঁচড়া সোনালী ব্যাংক, রুপালি ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক সহ বেশ কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংক এখানে রয়েছে।
কিন্তু দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটির সংস্কার না হওয়ায় কার্যত সবকিছতেই স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আকতারুজ্জামান জানান, রাস্তাটির আগে পিন কোড ছিলো না, এখন সেটি হয়েছে। সাবেক এবং বতর্মান দুই চেয়ারম্যান অনেক বার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, কিন্তু রাস্তাটি এখনো সংস্কার হয়নি।
তিনি আরো জানান, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি যত দ্রুত সম্ভব মহিষা মাঠপাড়া থেকে রামভদ্রপুর পযর্ন্ত সড়কটি সংস্কার করে জনদুর্ভোগ লাঘব করা হোক।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন