চুয়াডাঙ্গায় ব্রীজের নিচ থেকে পল্লী চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার

বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষ ঋণগ্রস্থ হয়ে পড়ছে। তা নিরসন করতে না পেরে কেউ পাওনা টাকার জেরে মানুষ হত্যা করছে। আবার ঋণের আখড়ায় জড়িয়ে পড়ে অবশেষে অনেকেই আত্মহত্যা করছে। এমনই এক সন্দেহাতিত ঘটনার মধ্যদিয়ে একজন পল্লী চিকিৎসকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার ডম্বলপুর—মাধবপুর গ্রামের ব্রিজে দড়ি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। মৃত ব্যক্তি পল্লী চিকিৎসক তৌহিদুল ইসলাম (৪০) উপজেলার কালিদাসপুর ইউনিয়নের ডম্বলপুর গ্রামের ব্রিজপাড়ার মকবুল ইসলামের ছেলে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কালিদাসপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আপিল হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে স্থানীয় চায়ের দোকান থেকে সময় কাটিয়ে বাড়ি চলে যায় তৌহিদুল। এরপর রাতে কী হয়েছে কেউ কিছু জানে না। সকালে স্থানীয়রা ব্রিজে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে দেখতে পায়। সেসময় পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে। তবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা পুলিশ তদন্ত করলেই রহস্য উন্মোচন হবে।

আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, ব্রিজের নিচ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকা পল্লী চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার করেছি। সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা সে বিষয়ে তদন্তকার্য অব্যহত রয়েছে।