গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে মসজিদ কমিটি গঠন নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত-১, আহত- ৭, আটক- ৩
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় মসজিদের কমিটি গঠন নিয়ে দ্বন্ধের জেরে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় লাঠি ও ধারালো ছুরির আঘাতে শাহিদুল প্রধান নামে একজন নিহত হয়েছে। এসময় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৭ জন। তাদের মধ্যে ৪ জনকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্বজনদের অভিযোগ, মজিদুল ইসলাম তার হাতে থাকা লাঠি ও অস্ত্র দিয়ে আঘাত করায় শাহিদুলের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) জুম্মার নামাজের পর গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের মালাধর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শাহিদুল প্রধান (৪৫) ফুলবাড়ি ইউনিয়নের মালাধর গ্রামের হাসিম প্রধানের ছেলে। অভিযুক্ত মজিদুল ইসলাম (৫০) একই গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে। তিনি বাংলাদেশ পুলিশ রংপুরে কর্মরত।
আটককৃতরা হলেন, আব্দুর গফুর (৩৮), শাকিল আহমেদ (২৭) ও শাফিউল সোহাগ (৩০)। তাদের সকলের বাড়ি মালাধর গ্রামে। তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সাতগ্রাম নিয়ে মালাধর জামে মসজিদে নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। সম্প্রতি মসজিদের কমিটি গঠন নিয়ে উত্তরপাড়া ও দক্ষিণপাড়ার মুসল্লিদের মধ্যে বিরোধ চলছিলো। এরেই জেরে শুক্রবার নামাজ পর কমিটি গঠন নিয়ে দুই পক্ষের মুসল্লিরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে মজিদুল ইসলামসহ তার সঙ্গে থাকা লোকজন লাঠিসোডা নিয়ে শাহিদুল প্রধানের ওপর হামলা করে।
পরে ধারালো ছুরি দিয়ে মাথায় আঘাত করলে গুরুত্বর আহত হন শাহিদুল। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে আসলে কর্তব্যরত চিতিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৭ জন। তাদের মধ্যে ৪ জনকে উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করারা হয়েছে।
স্থানীয় মুসল্লি, মেহেদুল ইসলাম ও সিরাজুল ইসলাম জানান, মসজিদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গঠন নিয়ে নামাজের পর স্থানীয় মুসল্লিদের বসার কথা। এ নিয়ে মজিদুল ইসলামের সঙ্গে শাহিদুল প্রধানের তর্ক হয়। এক পর্যায়ে মজিদুল তার হাতে থাকা লাঠি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে শাহিদুলের মাথায় আঘাত করে।
মুসল্লিদের অভিযোগ, এরআগে পুলিশে কর্মকর্তা মজিদুল ইসলাম মসজিদের সভাপতি ছিলেন। তিনি আবারও গোপনে তার পছন্দের লোক দিয়ে পকেট কমিটি গঠন করে। সেই কমিটির জেরে পরিকল্পিতভাবে মজিদুল তার লোকজন নিয়ে এই হামলার ঘটনা ঘটায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন