দিনাজপুরের বীরগঞ্জে সেনা-পুলিশের চেকপোস্ট অভিযান: হেলমেট ও কাগজপত্র না থাকায় জরিমানা

শৃঙ্খলিত সড়ক ব্যবস্থাপনা, নিরাপদ জনপদ ও আইন মেনে চলার বার্তা দিতে দিনাজপুরের বীরগঞ্জে অভিযান চালিয়েছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ। রবিবার (২২ জুন) বিকেল ৪টা থেকে ৬টা পর্যন্ত শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় পরিচালিত এ অভিযানে মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনের কাগজপত্র যাচাই করা হয়। অভিযানে আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে আদায় করা হয় ৪১ হাজার টাকা জরিমানা।

দিনাজপুর সেনানিবাসের আওতাধীন ২৮ বীর ব্যাটালিয়নের সদস্যরা বীরগঞ্জ পৌর শহরের ব্যস্ততম পয়েন্ট বাসস্ট্যান্ড, বিজয় চত্বর ও থানা মোড়ে বসান চেকপোস্ট। পুলিশের সহযোগিতায় যানবাহন থামিয়ে চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স, যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন, ফিটনেস, ইনস্যুরেন্স ও ট্যাক্স টোকেন যাচাই করা হয়। যারা নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে নেওয়া হয় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা।

চেকপোস্ট পরিচালনায় নেতৃত্ব দেন সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার ওবায়দুল হক। তিনি বলেন, নাগরিকদের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করা শুধু দায়িত্ব নয়, এটি আমাদের মানবিক অঙ্গীকার। সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষা এবং অপরাধ দমনেও আমরা সক্রিয়ভাবে কাজ করছি। ২৪ ঘণ্টা নজরদারির পাশাপাশি সন্দেহজনক ব্যক্তি বা কার্যকলাপ দেখলেই নেওয়া হচ্ছে কঠোর ব্যবস্থা।

এই যৌথ অভিযানে সেনাবাহিনীর সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ ও দ্রæত সিদ্ধান্ত গ্রহণ দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। নাগরিক সহায়তায় সেনাবাহিনী একটি হটলাইন (০১৭৬৯৬৮৬৮৫৬) চালু রেখেছে, যেখানে যেকোনো তথ্য বা অভিযোগ জানানো যাচ্ছে।

বীরগঞ্জ পৌর ব্যবসায়ী মালিক সমিতির কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী বলেন, চেকপোস্ট কার্যক্রম চালু হওয়ার পর শহরের চিত্র অনেকটাই বদলে গেছে। চুরি-ছিনতাই কমেছে, পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা ফিরেছে।

স্থানীয় পথচারী সাদেকুল ইসলাম জানান, সেনাবাহিনীর উপস্থিতি মানুষকে যেমন নিরাপত্তা দিয়েছে, তেমনি শহরে ফিরেছে এক ধরণের শৃঙ্খলা ও স্বস্তি।

চেকপোস্ট অভিযান শুধু একটি আইনগত প্রক্রিয়া নয়, বরং এটি নাগরিক সচেতনতা ও নিরাপত্তার এক বাস্তব রূপ। এ ধরণের উদ্যোগ শহরের প্রতিটি মানুষকে নিরাপত্তার আশ্বাস দেয় এবং অপরাধ প্রবণতাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে।