এবার পাসের হারে শীর্ষে কুমিল্লা, তলানিতে চট্টগ্রাম

ঢাকা ছাড়াও দেশের বাকী শিক্ষাবোর্ডেও একযোগে এইচএসসির পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে। ফল হাতে পেয়েই কলেজগুলোতে আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেন শিক্ষার্থীরা। পাসের হারে সবার শীর্ষে রয়েছে কুমিল্লাবোর্ড। এ বোর্ডে পাসের হার ৭৭ দশমিক সাত চার শতাংশ। বিপরীতে ৬২ দশমিক ১৯ শতাংশ পাসের হারে পিছিয়ে আছে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড।

বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শুরুর আগের ধাপ এইচএসসিতে কাঙ্ক্ষিত সফলতা পেয়ে এভাবেই আনন্দ উল্লাসে মাতেন পরীক্ষার্থীরা। গত চার বছরের পরিসংখ্যানকে পেছনে ফেলে পাসের হারের দিক থেকে এবার কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড সবার শীর্ষে। এ বোর্ডে ৭৭ দশমিক সাত চার শতাংশ পরীক্ষার্থী পাস করেছে। জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ২ হাজার ৩৭ জন পরীক্ষার্থী।

পাসের হারে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে রাজশাহী শিক্ষাবোর্ড। গত বছরের চেয়ে ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ বেড়ে এবার পাস করেছে ৭৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ পরীক্ষার্থী। ১ লাখ ৫১ হাজার পরীক্ষার্থীর মধ্যে এ বোর্ডে জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন ৬ হাজার ৭২৯ জন।

গতবারের চেয়ে এবার জিপিএ ৫ বাড়লেও সারাদেশে পাসের হারের দিক থেকে তলানিতে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড। পাসের হার ৬২.১৯ শতাংশ। যা গতবার ছিলো ৬২.৭৩ শতাংশ। এ বোর্ডে এবার জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ২ হাজার ৮৬০ জন। মূলত আইসিটি ও ইংরেজি বিষয়ে প্রশ্ন কঠিন হওয়া এবং তিন পার্বত্য জেলায় পাসের হার কম থাকায় কমেছে পাসের হার।

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, আইসিটি এবং ইংরেজি এই দুইটা আবশ্যক বিষয় এবং এই দুইটা বিষয়ের পাসের হারের যদি উত্থানপতন হয় সেটা সরাসরিভাবে ফলাফলের উপর প্রভাব পড়ে।

দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডে এবার পাসের হার ৭১ দশমিক ৭৮ শতাংশ। যা গতবারের চেয়ে ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ বেশি। এ বোর্ডে এবার জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন ৪ হাজার ৪৯ জন পরীক্ষার্থী। এ বোর্ডে কোনো পরীক্ষার্থী পাস না করার তালিকায় রয়েছে ৭টি কলেজ।

ফলাফল পেয়ে উচ্ছ্বাসে মাতেন যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষার্থীরাও। এ বোর্ডে পাসের হার ৭৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ। জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ৫ হাজার ৩শ’ ১২জন পরীক্ষার্থী।

সিলেট বোর্ডে এবার পাসের হার ও জিপিএ ফাইভ দুটোই বেড়েছে। বোর্ডে ৬৭ দশমিক ৫ শতাংশ পরীক্ষার্থী কৃতকার্য হয়েছে। জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ১ হাজার ৯৪ জন পরীক্ষার্থী।

৭০ দশমিক ৬৫ শতাংশ পাসের হার বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে। এ বোর্ডে জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ১ হাজার ২শ’ একজন। ভালো ফলাফল অর্জন করায় খুশি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।