আলোকবর্তিকার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে শীতার্তদের মাঝে কম্বল ও মাস্ক বিতরণ

পৌষ মাস মানেই হার কাঁপানো শীত। দিনের বেশিরভাগ সময় ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকে লোকালয়। পৌষের শেষভাগে এসে শীতের প্রকপ ক্রমেই বাড়ছে। বিশেষ করে উত্তর থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়া শেলের মত ঢুকে পড়ছে শরীরে। প্রচন্ড ঠান্ডায় জবুথবু হয়ে চলছে জনজীবন। এই শীতে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত অসহায় মানুষদের পাশে দাড়িয়েছে শিক্ষা ও সেবা মূলক সংগঠন আলোকবর্তিকা’র প্রতিষ্ঠাতা শাহজাদপুর সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুমনা আক্তার শিমু।

শনিবার সকালে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় চত্বরে শিক্ষা ও সেবা মূলক সংগঠন আলোকবর্তিকা’র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ৩০০ জন দুস্থ অসহায় মানুষের মাঝে কম্বল, মাস্ক বিতরণ করা হয়।

শীতের সকালে শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম সাইফুল ইসলাম, যমুনা টিভির স্টাফ রিপোর্টার গোলাম মোস্তফা রুবেল, আলোকবর্তিকার প্রতিষ্ঠাতা ও সহকারি শিক্ষক সুমনা আক্তার শিমু, আলোকবর্তিকা’র তরুণ আলোকছটারা।

এ সময় আলোকবর্তিকা’র প্রতিষ্ঠাতা সুমনা আক্তার শিমু বলেন, বর্তমান সময়ে মানুষের সবচেয়ে বড় সংকট মানবিক বিপর্যয়। এ সংকট থেকে উত্তরণের জন্য কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানবিক মূল্যবোধ সৃষ্টি করাই হবে আলোকবর্তিকা’র প্রধান উদ্দেশ্য।

তারা আশাবাদ ব্যাক্ত করে বলেন, এই সংগঠনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নিজেকে একজন নির্ভিক, ন্যায়নিষ্ঠ, পরপোকারী, উদ্যমী সচেতন মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে অনুপ্রেরণা পাবে।

তিনি আরও বলেন- বাধ্যবাধকতা নয়, উৎসাহ আর অনুপ্রেরণার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নৈতিক গুণাবলীর বিকাশ এবং শিক্ষাগ্রহণের প্রতি মনোযোগী করে গড়ে তোলার দিকনির্দেশনা প্রদান করছে। সেইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের মধ্যে লুকিয়ে থাকা সুপ্ত প্রতিভাগুলো যেন প্রস্ফুটিত হতে পারে সেই সুযোগ করে দিয়ে পরিশুদ্ধ মানুষ গঠনের লক্ষ্যেই সংগঠনটি ভূমিকা রাখছে। এজন্য শিক্ষিকা সুমনা আক্তার শিমুসহ আলোকবর্তিকার আলোকছটাদের সফলতা কামনা করেন।