সিরাজগঞ্জের মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন খেয়ে শিশুর মৃত্যু! মা-বোনসহ ৪ জন অসুস্থ

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইনের পানি পানের পর জিম খাতুন (৩) বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ওই শিশুর মাসহ আরো তিনজন। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দোকানদার ও সেলসম্যানসহ চার জনকে আটক করেছে থানা পুলিশ।

সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে বেলকুচি উপজেলার বেলগাছি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শিশু জিম খাতুন উপজেলার বেলগাছি গ্রামের কায়েম উদ্দিনের মেয়ে। অসুস্থরা হলেন, জিমের মা পারভীন খাতুন, বোন রিয়া ও মিথিলা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যায় শবে বরাতের নফল রোজা রেখে ইফতারীতে খাওয়ার স্যালাইন ও ইস্পি ট্যাংয়ের মিশ্রণ গুলিয়ে পান করেন পারভীন খাতুন। এ সময় তার তিন সন্তান জিম, রিয়া ও মিথিলা ওই পানীয় পান করে। ইফতার শেষে পারভীন ও তার তিন শিশু সন্তান অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরিবারের লোকজন ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।

হাসপাতালের জরুরী বিভাগে চিকিৎসক ডা. ফয়সাল হোসেন জানান, অসুস্থ অবস্থায় প্রথমে বেলকুচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাদের সিরাজগঞ্জের প্রেরণ করেন। এখানে আসার পর জিম খাতুন নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য অসুস্থ অপর তিনজনকে বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। জিমের মরদেহ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।

বেলকুচি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনিছুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে দোকানদার আমিনুল ইসলাম, স্যালাইনের সেলসম্যান আনিছুর রহমান, হাফিজ শেখ ও সাগর হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদে জন্য থানায় আনা হয়েছে।’

বেলকুচি থানার ওসি (তদন্ত) মো. আব্দুল বারিক বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল থেকে ওরস্যালাইন এবং ইস্পি ট্যাংয়ের খালি প্যাকেট ও মিশ্রণের পানি সংগ্রহ করেছি। এতে দেখা গেছে, ওরস্যালাইনের প্যাকেটের মেয়াদ নেই আর ইস্পি ট্যাংয়ের মেয়াদ স্পষ্ট নয়। ধারণা করা হচ্ছে, ওরস্যালাইনের যেহেতু মেয়াদ নেই এটা থেকে বিষক্রিয়া হতে পারে। তবে ডাক্তারা পরীক্ষা নিরীক্ষা ও ল্যাব টেষ্ট করে রিপোর্ট দিলে সঠিকটা জানা যাবে।’