উচ্চশিক্ষা ও চাকরির সুযোগ পেতে ইবিতে জাপানি ভাষা শিক্ষার উদ্যোগ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ছয় মাস মেয়াদী জাপানী ভাষা শিক্ষা কোর্স চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে কোর্সটি চালু হবে। এর মাধ্যমে
জাপানে উচ্চশিক্ষা ও চাকরির সুযোগ পাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

রোববার (১৯ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইইআর ভবনে এর পরিচালকের অফিস কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে জাপানের স্বনামধন্য জেনমিরাই প্রতিষ্ঠানের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক এডুকেশন এন্ড রিসার্চ (আইআইইআর) এর একটি সমঝোতা স্মারকও স্বাক্ষরিত হয়।

চুক্তিপত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া ও আইআইইআর এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান এবং জেনমিরাই প্রতিষ্ঠানের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির সিইও কাওয়ামোতে ইয়াশুহিরো সই করেন।

এসময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী, সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহীনুর রহমান। এছাড়াও জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রেজওয়ানুল ইসলাম, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরফিন, অধ্যাপক ড. রুহুল কে এম সালেহ, অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত সাংবাদিকসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন উপস্থিত জাপানি প্রতিনিধিরা।

এসময় আইআইইআর’র পরিচালক অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান বলেন, ‘আজকে একটি বিখ্যাত জাপানি প্রতিষ্ঠানের সাথে সমোঝতা স্মারক স্বাক্ষরিত হলো। এটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং ঐতিহাসিক ব্যাপার। আশা করছি এটি আমাদের জন্য কার্যকরী হবে। এর মাধ্যমে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জাপানি ভাষা শেখার মাধ্যমে জাপানে উচ্চশিক্ষা বা চাকরির জন্য যাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে। জাপানের শিক্ষকরা এসে এখানে ভাষা শেখাবে। সর্বোপরি এর মাধ্যমে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চমৎকারভাবে উপকৃত হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘এই চুক্তির দ্বারা কোর্সটি সম্পন্ন করার মাধ্যমে বিশেষভাবে আমাদের শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে বলে আমি মনে করি। তাদের জন্য জাপানে উচ্চশিক্ষা, গবেষণা এবং চাকরির সুযোগ তৈরি হবে। এখানে উপস্থিত জাপানের প্রতিনিধি বলেছেন যে জাপানে আইটি ইঞ্জিনিয়ারদের উচ্চ বেতনে চাকরির সুযোগ রয়েছে। আর যেহেতু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ রয়েছে, সেক্ষেত্রে এই চুক্তিটি আমাদের জন্য অনেক ফলপ্রসূ হবে বলে আশা করছি।