যশোরের মনিরামপুরে গাড়ীর কালো ধোঁয়া ও উচ্চ শব্দে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ, প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা

যশোরের মনিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় দেখা গেছে বেশিরভাগ গাড়ি থেকে অতিরিক্ত মাত্রায় দূষিত কালো ধোঁয়া বের হচ্ছে। ফলে গাড়ীর দূষিত কালো ধোঁয়ায় মনিরামপুরের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।

এছাড়া গাড়ির উচ্চ শব্দের হর্ন ব্যবহার করার কারনে সড়কে চলাচলকারী বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। নিরব ভুমিকায় রয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তরসহ প্রশাসন।

দেখা গেছে- সড়কে চলাচলকারী অধিকাংশ গাড়ী থেকে দূষিত কালো ধোঁয়া বের হচ্ছে। চালকরা দ্রুত গতিতে গাড়ী চালায় এবং কালো ধোঁয়া ছাড়ে। পাশাপাশি উচ্চ শব্দে হর্ন বাজিয়ে চলাচল করে গাড়ী। যা মানুষের জন্য বিরক্তিকর একটি বিষয়। অনেক অসুস্থ্য মানুষ আছে, যারা গাড়ীর এই কালো ধোঁয়া ও উচ্চ শব্দের হর্ন সহ্য করতে পারে না।

এই অসুস্থ্য মানুষগুলো যখন বিভিন্ন কাজে রাস্তায় উঠে, তখন গাড়ীর কালো ধোঁয়া ও ব্যাকট শব্দের হর্ন পেয়ে মানুষের হার্ডবিট বেড়ে যায়। দেখা গেছে- গাড়ী চালকেরা কারনে-অকারনে কালো ধোঁয়া ছাড়ে এবং উচ্চ শব্দে হর্ন বাজায়। পরিবেশ দূষণের অন্যতম কারণ এটি বলে মনে করছেন স্থানীয় সচেতন সমাজ। এটা খুবই অস্বাস্থ্যকর ও ঝুঁকিপূর্ণ।

প্রশাসন থেকে বিভিন্ন অভিযান চললেও, গাড়ী থেকে কালো ধোঁয়া ও উচ্চ শব্দের হর্ন বাজানো নিয়ন্ত্রণ রাখতে মনিরামপুরে এখনো কোনো অভিযান পরিচালিত হয়নি। উপজেলার রাজগঞ্জের বাসিন্দা বিল্লাল হোসেন জানান- গাড়ীর এই কালো ধোঁয়া ও উচ্চ শব্দের হর্ন এতো বিরক্তিকর, যে সহ্য করা যায় না। এতে বেশির ভাগ মানুষের (শিশু, বৃদ্ধ, শ্বাসকষ্টের রোগী) জন্য অস্বাস্থ্যকর একটি বিষয়।

যা অস্বাস্থ্যকর ও বিপজ্জনক বলে ধরা হয়। একজন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুল মাজিদ। তিনি বলেন- শীতের সময় সাধারণত রাস্তায় ধুলাবালি বেশি হয়। তারপর গাড়ীর দূষিত কালো ধোঁয়া। এটি অত্যন্ত বিরক্তিকর। যা নিশ্চিত মানুষ অসুস্থ্য হওয়ার কারন। তিনি বলেন- বায়ু দূষণের পেছনে মানুষের অসচেতনতা অনেকাংশে দায়ী। এক্ষেত্রে মানুষের সচেতনতা হওয়া দরকার বলে দাবী করেন তিনি।

উপজেলার রাজগঞ্জ বাজারের অনেক ব্যবসায়ী বলেন- গাড়ী চালকরা কালো ধোঁয়া ও উচ্চ শব্দে হর্ন বাজিয়ে খুব সমস্যা সৃষ্টি করে। যা প্রতিনিয়িত সহ্য যায় না। সড়কে গাড়ীর কালো ধোঁয়া ও উচ্চ শব্দের হর্ন বাজানো বন্ধে প্রশাসনের সৃ-দৃষ্টি কামনা করেছেন মনিরামপুরবাসী।