এবারের ঈদেও আনন্দ নেই কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকদের

কোভিট-১৯ করোনা মহামারীর কারণে প্রায় ১৬ মাস যাবৎ দেশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ন্যায় কিন্ডারগার্টেন ও প্রাইভেট স্কুলগুলো বন্ধ থাকায় এবারের ঈদেও আনন্দ নেই কিন্ডারগার্টেন পরিচালক ও শিক্ষকদের পরিবারে।

সারা বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারীতে বাংলাদেশে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যগত সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সরকার বিগত মার্চ থেকে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছেন। এসকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন লক্ষ লক্ষ শিক্ষক-কর্মচারী। বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী সারাদেশে প্রায় ৪০ হাজার কিন্ডারগার্টেন স্কুলে কর্মরত ছিলেন প্রায় ৬ লক্ষ শিক্ষক।কোভিড -১৯ নিয়ন্ত্রণে সরকার দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেণী কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করায় এ সকল কিন্ডারগার্টেন স্কুলে কর্মরত শিক্ষকরা বেকার হয়ে পড়ে।প্রায় ১৬ মাস যাবৎ কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলো বন্ধ থাকায় স্কুল পরিচালকরাও বিপাকে পড়েন।ভাড়া করা বাসায় পরিচালিত অনেক কিন্ডারগার্টেন ইতিমধ্যে স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে গেছে।বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের দেওয়া তথ্যমতে সারাদেশের প্রায় ৩ হাজার কিন্ডারগার্টেন স্কুল বন্ধ হয়ে গেছে।দীর্ঘদিন স্কুলগুলো বন্ধ থাকায় প্রায় ৬০ ভাগ শিক্ষক তাদের পেশা পরিবর্তন করে অন্য পেশায় চলে গিয়েছেন।

বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের মহাসচিব মিজানুর রহমান বলেন, আমরা সরকারের নিকট বার বার প্রণোদনার জন্য আবেদন করেও কোন সাড়া পায়নি।তিনি বলেন,আগে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সেশনজটের কবলে পড়তো শিক্ষার্থীরা আর এখন দীর্ঘদিন থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরাও সেশন জটে পড়েছে।এভাবে বন্ধ থাকার ফলে শিক্ষার্থীরাও মানসিক রোগী হয়ে গেছে।তিনি আরো বলেন শিক্ষার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পূর্বের ন্যায় স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সবচেয়ে বেশি কষ্ট হবে শিক্ষকদের।

প্রায় ১৬ যাবৎ স্কুল বন্ধ থাকায় কঠিন বিপদে আছেন কিন্ডারগার্টেন শিক্ষক পরিচালকরা।শিক্ষকরা অর্ধাহারে অনাহারে দিন অতিবাহিত করছেন।এবারের ঈদেও কোন আনন্দ নেই শিক্ষকদের পরিবারে।

তাই খুব দ্রুত স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুলগুলো খুলে দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান এসোসিয়েশনের মহাসচিব মিজানুর রহমান সরকার।