কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট অবতরণে বাধা নেই

কক্সবাজার বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক বোয়িং বিমান অবতরণের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে রানওয়ে।

মঙ্গলবার সকাল থেকে ৯ হাজার ফুটের রানওয়ে দিয়ে চলাচল শুরু করেছে সরকারি-বেসরকারি বিমান।আন্তর্জাতিক ফ্লাইটসহ যে কোনো ধরনের বিমান অবতরণে আর কোনো বাধা নেই বলে জানালেন কক্সবাজার বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক সাধন কুমার মহন্ত।

এদিকে ২০১৫ সালের ২ জুলাই কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে ৬৭৭৫ ফুট থেকে বাড়িয়ে ৯ হাজার ফুট বাড়িয়ে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীতকরণ প্রকল্পের কার্যক্রম উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রকল্পগুলোর মধ্যে ছিল রানওয়ের দৈর্ঘ্য ৬৭৭৫ ফুট থেকে ৯ হাজার ফুটে বর্ধিতকরণ, রানওয়ের চওড়া ১৫০ ফুট থেকে ২০০ (শোল্ডারসহ) ফুটে বর্ধিতকরণ, রানওয়ের শক্তিবৃদ্ধিকরণ, এয়ারফিল্ড লাইটিং সিস্টেম স্থাপন, ফায়ার ফাইটিং ভেহিক্যাল ক্রয় ও নব্য যোগাযোগ যন্ত্রপাতি। পাশাপাশি কাজ শেষ হওয়ার নির্ধারিত সময় ছিল ২০১৮ সালের ২৬ জানুয়ারি।

সূত্র জানায়, যথাসময়ে কাজ শেষ করে মঙ্গলবার সকালে কক্সবাজার বিমানবন্দরে বোয়িং বিমান অবতরণের জন্য রানওয়ে খুলে দেয়া হয়।

পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ও বোয়িং বিমান অবতরণের ক্ষেত্রে যেসব সুযোগ-সুবিধা প্রয়োজন তাও নিশ্চিত করা হয়েছে।

কক্সবাজার বিমানবন্দর সূত্র জানায়, বোয়িং-৭৩৭-৮০০ সিরিজের আন্তর্জাতিক বিমানটি ২০০ যাত্রীর আসনবিশিষ্ট। এটি বাংলাদেশ বিমানের এ সিরিজের সবচেয়ে বড় বিমান। এ বিমান দিয়ে আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়। কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বর্তমানে এই বোয়িং বিমান অবতরণে আর কোনো বাধা নেই।

কক্সবাজার বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক সাধন কুমার মহন্ত জানান, এখন থেকে বড় বড় বিমান ওঠানামা করতে পারবে। বিদেশ থেকে সরাসরি পর্যটকদের কক্সবাজারে আসা-যাওয়ায় সুবিধা হবে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর বিমান চলাচলে মাঝপথে জ্বালানি নেয়ার সুযোগেরও সৃষ্টি হবে।

এদিকে কক্সবাজার মৎস্য ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জয়নাল আবেদীন বলেন, ৯ হাজার ফুটের রানওয়ে খুলে দেয়া হলেও এখনও পর্যন্ত বিমানবন্দরের নিরাপত্তাবেষ্টনী নিয়ে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক রয়েছে। কারণ বিমানবন্দরের চারদিকের সীমানা দেয়াল দেয়া হয়নি। যে কোনো মুহূর্তে বিমান অবতরণের সময় দুর্ঘটনা ঘটার আশংকা রয়েছে। কারণ সর্বদা রানওয়ে দিয়ে কুকুর, গরু, ছাগলসহ লোকজনের যাতায়াত রয়েছে।