কয়েকদিনের দাবদাহের দাপটে যশোরের রাজগঞ্জের জনজীবন বিপর্যস্থ

সারা দেশের ন্যায় যশোরের মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে প্রচন্ড দাবদাহ।

রাজগঞ্জে কয়েকদিন ধরে তীব্র গরমের দাপটে নাজেহাল জনজীবন। এ অবস্থায় সবচেয়ে বেশি কষ্টে পড়েছেন এ অঞ্চলের মাঠে ও ধান শোকানো কাজে নিয়োজিত খেটে খাওয়া ও দিনমজুর মানুষ। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে আরও কয়েকদিন এ অবস্থা অব্যাহত থাকতে পারে।

আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্যমতে- এ তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে আরও কয়েকদিন। মঙ্গলবার (৯ মে) তাপমাত্রা সবচেয়ে বেশি ছিলো বলে জানান রাজগঞ্জ এলাকার খেটে খাওয়া মানুষেরা। তারা বলেন- কাজের ফাঁকে ফাঁকে গাছের ছায়ায় বসে একটু রেস্ট নিয়ে নিয়ে কাজ করেছেন।

প্রচন্ড তাপদহে প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় বের হতে চাচ্ছেন না মানুষেরা। দেখা গেছে- কিছু মানুষ একটু স্বস্তি পেতে গাছ বা বড় বড় ভবনের ছায়াতলে আশ্রয় নিচ্ছেন। অনেকে রোদ থেকে বাঁচতে ছাতা ও গামছা ব্যবহার করছেন। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়- তীব্র গরমে নাজেহাল অবস্থা প্রতিটি শ্রেণি-পেশার মানুষের পাশাপাশি শ্রমজীবী ও কর্মজীবীদের জীবনে তীব্র গরমের প্রভাব পড়েছে অত্যধিক। তারপরও জীবন-জীবিকার তাগিদে ঘাম ঝরিয়ে ছুটে চলেছে তারা কাজের সন্ধানে।

রাজগঞ্জে হানুয়ার মাঠে পাটের ক্ষেতে কাজ করছেন মিরাজ হোসেন (৫৫) নামের একজন কৃষিশ্রমিক। তিনি বলেন- কয়েকদিন ধরে যে রোদ ও গরম পড়ছে? তাতে আমাদের অবস্থা খুব খারাপ যাচ্ছে। ঠিকমতো কাজ করতে পারছি না। কী আর করবো। কাজ না করলে তো আর সংসার চলবে না। কৃষিশ্রমিক সিদ্দিক হোসেন (৫২) বলেন- ইরি-বোরো ধান কাটার পর, সেগুলো সেদ্ধ-শুকনো করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে এই তীব্র গরমে।

একে বারে নাজেহাল অবস্থা। রহিমা বেগম (৫০) নামের একজন গৃহিনী বলেন- খুব ভোরে উঠে ধান সেদ্ধ করে, সেগুলো রোদে শুকাতে দিতে হয়। রোদে ধান শুকানোর মতো কষ্টের কাজ আমার মতে আর নেই। সারাদিন রোদে ধান শুকানোর কাজ করতে যেয়ে নাজেহাল অবস্থা।

রাজগঞ্জ বাজারের একজন চা দোকানী বলেন- তীব্র গরমের কারণে চা বিক্রিও কমে গেছে। সব মিলিয়ে গরমের তীব্রতায় খুব নাজেহাল রাজগঞ্জের জনজীবন।
আবহাওয়াবিদরা বিভন্ন সময় বিভন্ন আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য দিচ্ছেন। তথ্যমতে- আগামী ১৩ মে’র মধ্যে ঝড় বৃষ্টি হতে পারে।