কুয়াকাটায় স্বামীকে মেরে হামলাকারীদের সাথে পালালো নববধূ

কুয়াকাটায় ঘুরতে এসে স্বামীকে মারধর করে হামলাকারীদের সাথে পালিয়েছে নববধু।

মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে এগারোটার দিকে কুয়াকাটা সৈকতের জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন ফ্রাই মার্কেটের পাশে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ আহত মনিরুলকে হেফাজতে নিলেও উদ্ধার করতে পারেনি তাঁর স্ত্রী নুরে জান্নাতকে।

মারধরের স্বীকার পর্যটক মনিরুল ইসলাম বরগুনা জেলার কেজি স্কুল সংলগ্ন আনোয়ার হোসেনের ছেলে।

পর্যটক মনিরুল ইসলাম জানান, তিনি দীর্ঘদিন সিঙ্গাপুর প্রবাসী ছিলেন। দেশে আসার পরে গত শুক্রবার পারিবারিকভাবে বরগুনার ঢলুয়া ইউনিয়নের হারুন-অর-রশিদের মেয়ে নুরে জান্নাতের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। পরে গতকাল তারা কুয়াকাটায় ঘুরতে আসেন। বিকালে সৈকতে ঘোরাঘুরির পরে সন্ধ্যায় তিনি ও তার স্ত্রী হোটেল কক্ষে অবস্থান নেন। পরে রাতে স্ত্রীর অনুরোধে তারা ফের হোটেল থেকে সৈকতের জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন ফ্রাই মার্কেটে ঘুরতে যান।

এসময় তার অনিচ্ছা স্বত্তেও স্ত্রী তাকে ফ্রাই মার্কেট পেরিয়ে অন্ধকারে নিয়ে গেলে হঠাৎ চার থেকে পাঁচজন লোক তার উপর আক্রমণ চালায়। এসময় মনির বাঁচার চেষ্টা করে এবং স্ত্রীকে আঁকড়ে ধরে। তবে তার স্ত্রী তাকে বাঁচানোর চেষ্টা না করে কোনো প্রকার ডাকচিৎকার ছাড়াই হামলাকারীদের সঙ্গে পালিয়ে যায়।

সৈকতের ফিশ ফ্রাই ব্যবসায়ী রিয়াজ উদ্দিন জানান, আমি তাদের স্বামী-স্ত্রী দু’জনকে সৈকতে নামতে দেখেছি। এর কিচ্ছুক্ষণ পরেই দেখি ওই লোকটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় পুলিশ কাছে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

নুরে জান্নাতের বাবা হারুন-অর-রশিদ জানান, আমরা ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গে বরগুনা থেকে কুয়াকাটায় চলে এসেছি। তবে আমার মেয়ে এখন কোথায় আছে তা এখনো জানতে পারিনি। জামাইকে নিয়ে এখন বাড়িতে যাচ্ছি। পারিবারিকভাবে বিষয়টি আমরা দেখবো।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পুলিশ পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ জানান, আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মারধরের স্বীকার পর্যটককে উদ্ধার করি। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন লক্ষ করা গেছে। পরে আমাদের কয়েকটি টিম আশেপাশে খোঁজাখুজি করেও তার স্ত্রীকে পাওয়া সম্ভব হয়নি। মনিরকে তাঁর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।