গণসংযোগে হামলা, বিএনপির প্রার্থীকে পিটিয়ে রক্তাক্ত

শরীয়তপুর-৩ (ভেদরগঞ্জ-ডামুড্যা-গোসাইরহাট) আসনের বিএনপির প্রার্থী মিয়া নুরুদ্দিন আহমেদ অপুর গণসংযোগে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। হামলায় প্রার্থীসহ অন্তত ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। সোমবার দুপুরে গোসাইরহাট পৌরসভার হেলিপ্যাড মাঠে এ হামলার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

নেতাকর্মীরা আহত অবস্থায় অপুকে উদ্ধার করে প্রথমে কোদালপুর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাঁকে পুলিশ পাহারায় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়।

হামলায় আহত গোসাইরহাট ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খলিল ভূইয়া (৪৫), আলালপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি বাবু ঢালী (৩৫), আহ্বায়ক মো. রিপন (৩৪), সদস্য মঞ্জুর হাওলাদার (৩৫), কুচাইপট্টি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমামুল গাজী (২০), গোসাইরহাট উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য ও আলালপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি শফিকুল ইসলাম (২৬), ছাত্রনেতা রাশেদ (২১) ও নীরবের (২২) নাম পাওয়া গেছে।

গোসাইরহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা বলেন, বিএনপির একটি মিছিল গোসাইরহাট হেলিপ্যাড পৌঁছালে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। তখন বিএনপির প্রার্থী আহত হন। তাঁকে কোদালপুর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

ওসি দাবি করেন, ঘটনার সময় সেখানে পুলিশ ছিল না। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।

এদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে এ হামলার জন্য আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগকে দায়ী করা হয়েছে।

শরীয়তপুর জেলা মহিলা দলের আহ্বায়ক আল আসমাউল হুসনা বলেন, দুপুর ১২টার দিকে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীর মিছিল চলাকালে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মিছিলে হামলা চালায়। হামলায় আমাদের প্রার্থী মিয়া নুরুদ্দিন আহমেদ অপুর মাথা ফেটে যায়। অন্যদেরও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে।

আহত মিয়া নুরুদ্দিন আহমেদ অপু বলেন, কোদালপুর ইউনিয়ন থেকে গণসংযোগ করতে করতে হেঁটে গোসাইরহাট উপজেলা সদরের দিকে যাচ্ছিলাম। গোসাইরহাট পৌরসভার হেলিপ্যাড মাঠে পৌঁছামাত্র একদল সন্ত্রাসী আমাদের ওপর হামলা চালায়।

এদিকে, গোসাইরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নাসির উদ্দিনের দাবি, গোসাইরহাটে বিএনপির দুটি দল। তারা একপক্ষ মিছিল করতে থাকলে, আরেকপক্ষ মিছিলে হামলা চালায়। আওয়ামী লীগ বা ছাত্রলীগ তাদের ওপর হামলা করেনি।