গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ধর্ম পাল্টে বিয়ে করে অন্তঃস্বত্বা স্ত্রীকে রেখে পালানো

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শালমারা ইউনিয়নের ঘুঘা জেলেপাড়ার চঞ্চল দাস নামের ওই প্রতারক ও তার বাবা মা এখন বাড়ি ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছে।

প্রতারিত গৃহবধু শারমিন জাহান রোজিনাকে গত ১৭ মে মো: আইমান আলী নামের ভূয়া জন্মনিবন্ধন সনদ দেখিয়ে রেজিস্ট্রির মাধ্যমে বিয়ে করে চঞ্চল দাস। সম্প্রতি চঞ্চল বাড়িতে এসে আর ফিরে না যাওয়ায় স্ত্রী রোজিনা স্বামীর বাড়ির ঠিকানায় এসে জানতে পারেন তার প্রতারণার বিষয়টি।

শনিবার ( ১২ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার শালমারা ইউনিয়নের ঘুঘা জেলেপাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, প্রতারিত রোজিনা চঞ্চল দাসের তালাবদ্ধ বাড়ির দরজায় বসে আছেন। তিনি জানান, তার বাড়ি ভোলা জেলার সদর উপজেলার বাঘমারা গ্রামে। গাজিপুরের একটি পোষাক কারখানায় চাকুরীর সুবাদে মো: আইমান আলী ওরফে চঞ্চলের সাথে তার পরিচয় হয়। মুসলিম হিসেবে পরিচয় দিয়ে চঞ্চল তখন জানিয়েছিল, তার বাবার নাম ইউনুস আলী ও মায়ের নাম রাহিলা বেগম এবং ঠিকানা গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ঘুঘা গ্রামে। এই নামের একটি জন্মনিবন্ধন সনদ দেখিয়ে গাজিপুর সদরের ভবানীপুর কাজী অফিসে এক লাখ টাকার দেনমোহরে তাকে বিয়ে করে।

একই গ্রামের ইউনুস আলী নামের একজনকে আত্মীয় পরিচয় দিয়ে বিয়ের সাক্ষী হিসেবেও উপস্থাপিত করে। বর্তমানে তিন মাসের অন্তঃস্বত্বা হিসেবে জানালে তার স্বামী বাড়িতে বেড়াতে এসে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এ কারণে গত বুধবার তিনি এখানে এসে জানতে পারেন চঞ্চলের আসল পরিচয়। তার বাবার নাম শ্রী ঠান্ডারাম দাস ও মা জোসনা রানী দাস। মিথ্যা ধর্মপরিচয় দিয়ে তাকে বিয়ে করায় অনাগত সন্তান নিয়ে তিনি এখন চরম বিপাকে ফেলায় প্রতারক বর ও স্বাক্ষীর বিচার চেয়ে তিনি ওই বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন। প্রতিবেশীরা জানান, তিনদিন আগে ওই মেয়েটি এখানে আসার পরই চঞ্চল তার বাবা-মা সহ গা ঢাকা দিয়েছে।

ওই ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য সালজার রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মানবিক কারণে মেয়েটিকে এলাকার লোকজন খাদ্য ও রাতে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।