ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে দুই নারীসহ ৫ জন গ্রেপ্তার

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে অভিযান চালিয়ে দুই নারী সহ ৫ জনকে আটক করেছে থানা পুলিশ। অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে শনিবার বিকালে উপজেলার সেনগাঁও ইউনিয়নের নোহালী গ্রামের সালেহা বেগমের বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন ঠাকুরগাঁও সদরের বালাপাড়া গ্রামের শের আলীর স্ত্রী সোহাগী আকতার জুই, বগুড়ার শাহাজানপুর থানার শাকপালা গ্রামের জনৈক সায়মার বাসার ভাড়াটিয়া বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট থানার বালিয়াকান্দি গ্রামের বিকাশ মজুমদারের স্ত্রী সমাপ্তি ওরফে শানু, রানীশংকৈল উপজেলার মিরডাঙ্গী সন্ধারই গ্রামের রেজাউলের ছেলে শাহিন আলম, ঠাকুরগাঁও সদরের ফেরশাডাঙ্গীর হামিদুলের ছেলে রাজ্জাক এবং একই গ্রামের আজিজুরের ছেলে শামিম। শনিবার রাতে তাদের বিরুদ্ধে পীরগঞ্জ থানায় ২০১২ সালের মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা করা হয়েছে।

পীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল লতিফ শেখ জানান, উপজেলার নোহালী গ্রামের মৃত আইজুলের স্ত্রী সালেহার বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালিত হয়ে আসছিল। শনিবার বিকালে ৯৯৯ এর মাধ্যমে থানা পুলিশ জানতে ঐ বাড়িতে অনৈতিক কার্যক্রম চলছে। এমন খবরে সেখানে অভিযান চালায় থানা পুলিশ। এ সময় বাড়ির ভিতরে বিভিন্ন কক্ষ থেকে তিন খদ্দের ও দুই মক্ষীরানীকে আটক করা হয়। তবে সালেহা সহ আরো ৩/৪ জন পালিয়ে যায়। অভিযানের খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকার শত শত মানুষ সেখানে ভীড় জমায়। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহরিয়ার নজির, সহকারী পুলিশ সুপার পীরগঞ্জ সার্কেল মঞ্জুরুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সন্ধার দিকে দুটি মোটর সাইকেল ও কিছু নগদ টাকা সহ আটককৃতদের থানায় আনা হয়। রাতেই থানার এস আই মুকুল চন্দ্র বাদি হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনের ১২/১৩ ধারায় মামলা দায়ের করেন। পরে এ মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের রবিবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, সালেহা বেগম এক সময় রাজধানী ঢাকায় অনৈতিক কার্যক্রমের সাথে জড়িত ছিল। কয়েক বছর আগে পীরগঞ্জে এসে পৌর শহরে বাড়ি ভাড়া নিয়ে অনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করেন। বর্তমানে নোহালী গ্রামে নিজে বাড়ি করে সেই বাড়ির ভিতরে ছোট ছোট কক্ষ বানিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে নারীদের এনে অনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করছেন। এলাকার লোকজন বাধা দিলে অনেকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন সাহেলা ও তার লোকজন। মান সম্মান আর মামলার ভয়ে তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস পায় না। এতে আরো বে পরোয়া হয়ে উঠে সালেহা।

অভিযোগ রয়েছে, প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তা সহ কতিপয় জনপ্রতিনিধি ও নেতাকে হাত করে সালেহা তার এ অনৈতিক ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন।