নওগাঁয় মাঠ জুড়ে হলুদ রঙে হাসছে সূর্যমুখী ফুল

তিন ফসলী জমিতে সূর্যমুখী ফুল চাষে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকরা। প্রকৃতিতে এবার আবহাওয়া সহনীয় থাকায় ফসলের মাঠ জুড়ে মৃদু বাতাসে দোল খাচ্ছে সূর্যমুখী ফুল। সূর্যমুখী চাষে এলাকায় তেলের চাহিদা অনেকটা পূরণ হবে এমনটা আশা করছেন উপজেলা কৃষি বিভাগ।

নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার জাহানপুর, ইসবপুর, আড়ানগর ও স¤প্রতি খেলনা ইউনিয়নে গেলেই চোখে পরবে বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে অগণিত সূর্যমুখী ফুলের ক্ষেত। সেখানে প্রকৃতি প্রেমীদের আনাগোনায় মুঠোফোনের সেলফিতে ফুটে উঠছে সূর্যমুখী ফুলের অপার সৌন্দর্য।

এ বিষয়ে সূর্যমুখী ফুল চাষি সামছুল হক জানান, উপজেলা কৃষি অফিসের দিক নির্দেশনা পরামর্শ ও প্রণোদনা পেয়ে সূর্যমুখী ফুল চাষে আগ্রহী হই। তারপর তিন শতাংশ জমিতে বীজ বপন করি। আজ আমার মাঠ জুড়ে হলুদ রঙে হাসছে সূর্যমুখী ফুল।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোছা.শাপলা খাতুন বলেন, সারাবিশ্বে সূর্যমুখী তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের অনেক এলাকায় বাণিজ্যিক ভাবে চাষাবাদ হচ্ছে সূর্যমুখী ফুল। কৃষি পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় উপজেলাই একশ পঞ্চাশ জন কৃষককে প্রণোদনার আওতায় এনে সার ও বীজ বিতরণের মাধ্যমে এবছরে হাইব্রিড জাতের মোট ২০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে সূর্যমুখী ফুল। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবছর ভালো ফলন ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকরা।

সূর্যমুখী ফুলের গাছ লম্বায় প্রায় ৩ মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে এবং ফুলের ব্যাস ৩০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়। এ ফুল দেখতে সূর্যের মত হওয়ায় এর নামকরণ করা হয়েছে সূর্যমুখী ফুল। রবি মৌসুমের এ ফসল এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময় কর্তন করার উপযুক্ত সময়।

প্রণোদনা পেয়ে উপকারভোগী কৃষকরা জানান আগামীতেও কৃষি অফিসের সহযোগিতা পেলে আরও বেশি করে সূর্যমুখী ফুল চাষে এলাকার মানুষ উদ্বুদ্ধ হবেন।

বাজারে বিক্রয় হওয়া সূর্যমুখী তেলের চাইতে আমাদের চাষ করা সূর্যমুখী তেলের গুণগত মান শত ভাগ ভালো। উপজেলার ফসলি মাটি চাষাবাদে উপযুক্ত হওয়ায় আগামীতে বড় পরিসরে সূর্যমুখী ফুল চাষে কৃষককে পরামর্শ প্রদানের লক্ষে কাজ করবেন বলে জানান কৃষি অফিসের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্তারা।