নরসিংদীতে ইউনিয়ন পর্যায়ে গণটিকাদান কার্যক্রম

নরসিংদীতে জেলার ইউনিয়নগুলোতে শনিবার সকাল ৯টা থেকে শুর হয় গণটিকা কার্যক্রম।

জেলা তথ্য অনুযায়ী জানা যায় যে, ৭২টি ইউনিয়ন ও ৫টি পৌরসভার প্রতিটি বুথে ২০০ জন করে দেওয়া হচ্ছে সিনোফার্মের টিকার প্রথম ডোজ টিকা। মোট ৯৩টি কেন্দ্রে ৪৭ হাজার ৪০০ ডোজ টিকাদান শুরু হয়েছে।

রায়পুরা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে দেয়া যায়, কোভিড-১৯ এর টিকা নিতে মানুষের মধ্যে আগ্রহ কম। সকলের মনের মধ্যেই অজানা ভয় ঢুকে গেছে। তাই সকলে টিকা নেওয়ার জন্য আসেনি। তাও যারা যারা ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকা নিতে আসছে তাদের মধ্যে অনেকের মুখে নেই কোন মাস্ক। সামাজিক দূরত্বও কেউ মানছে না।

মরজাল ইউনিয়নে টিকা নিতে আসা কুলসুম বেগম বলেন, আমরা শুনেছি টিকা নিলে নাকি করোনা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। তাই আমি ৪০ টাকা রিক্সা ভাড়া দিয়ে টিকা নিতে আসছি। অথচ আমার আশে পাশের অনেক প্রতিবেশী টিকা নিতে ভয় পাচ্ছে। তাই তারা আসে নি। তাদের ধারণা টিকা নিলে শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিবে।

নরসিংদীর সিভিল সার্জন অফিসের স্বাস্থ্য বিষয়ক এক কর্মকতা বলেন, কোভিড-১৯ এর টিকা মানুষের স্বাস্থ্যজনিত কোন ক্ষতি করবে না। কারণ এটা সম্পূর্ণ বিশ্ব স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদন প্রাপ্ত ল্যাব থেকে পরীক্ষা করে মানুষের কল্যাণে পাঠানো হয়েছে যা সরকার বিনামূলে আমাদেরকে দিচ্ছে। তাই প্রত্যেক মানুষের উচিত টিকা গ্রহণ করা। নতুবা টিকা ছাড়া কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে প্রচুর। আমি নিশ্চিত করে সাধারণ গণমানুষের উদ্দেশ্যে বলতে পারি, কোভিড-১৯ এর টিকার কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। সকলেই এটি গ্রহণ করতে পারে।

এছাড়া জেলার পাঁচটি পৌরসভার ২১টি কেন্দ্রে পরিচালনা করা হচ্ছে টিকাদান কার্যক্রম। একই সময়ে টিকাদান কর্মসূচিসহ (ইপিআই) অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমও চলমান। প্রতিটি কেন্দ্রে দুইজন টিকাদানকারী (স্বাস্থ্যকর্মী) ও তিনজন স্বেচ্ছাসেবী দায়িত্ব পালন করছে।
২৫ বছর বা তার বেশি বয়সী লোকজনকে এই টিকা দেওয়া হবে। টিকা নিতে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) সাথে সচল ফোন সঙ্গে থাকাটা আবশ্যক বলে সকলেই এগুলো নিয়ে এসেছেন।

নরসিংদীর সিভিল সার্জন ডা. মো. নূরল ইসলাম বলেন, প্রতিটি টিকাদান কেন্দ্রে বয়োজ্যেষ্ঠ, নারী ও প্রতিবন্ধীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। প্রশাসন, পৌরসভার মেয়র, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে নিয়ে টিকাদান কেন্দে খুবই সাবলীলভাবে পরিচালনা করা হচ্ছে।