নরসিংদীতে তরুন প্রজন্মের সুনামধন্য সংবাদকর্মী রুদ্র ৯ বছরে পদার্পন

নরসিংদী জেলার সংবাদপত্র জগতের অন্যতম তরুন প্রজন্মের সফল সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম রুদ্র। যার হাত ধরে সাংবাদিকতা জগতে বিচরণ ঘটেছে অনেকে। তারা অনেকেই নিজ নিজ জায়গায় খ্যাতি ছড়িয়েছেন।

৩২ বছর বয়সী সাইফুল ইসলাম রুদ্রের জন্ম নরসিংদী রায়পুরা উপজেলার মরজাল বাসষ্ট্যান্ড মধ্যপাড়া গ্রামের কৃষকখোরশেদ আলমের পরিবারে। বর্তমানে তিনি নরসিংদী সদরের উপজেলায় থাকেন।

সাইফুল ইসলাম রুদ্র ২০১৩ সালে ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক যোগাযোগ প্রতিদিন পত্রিকায় নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করার মধ্যদিয়ে সাংবাদিকতা শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি বিভিন্ন অনলাইন মিডিয়া, জাতীয় দৈনিক প্রিন্ড মিডিয়াসহ বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্মে জেলা প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

বর্তমানে তিনি বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন।

সংবাদকর্মীর পাশাপাশি সাইফুল ইসলাম রুদ্র বিভিন্ন ব্যবসায় উদ্যোক্তা হিসেবে রয়েছেন।

সংবাদপত্রে কাজ করার দীর্ঘ সময়ে তিনি কম টাকার বেতনেও চাকরি করেছেন। যখনি টাকা চেয়েছেন কিংবা সম্মানি বাড়াতে বলেছেন তখনই মালিক সম্পাদকের কাছে বিরাগভাজন হয়েছেন। অনেকবার চাকরিও হারিয়েছেন।

তবে তিনি দমে জাননি। এত কিছুর পরেও সাংবাদিকতায় নিজের ভাগ্যের পরিবর্তন না ঘটাতে পারলেও জনস্বার্থে বিভিন্ন খবর প্রকাশ করে আসছেন তিনি।

মানুষের অধিকার নিয়ে কথা বলা এই মানুষটি এখনও স্বপ্ন দেখেন নরসিংদীর সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে নিজেদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে কল্যাণ তহবিল গঠন করবে।

এই পেশায় এসেছিলেন দুঃখী, অসহায়, দরিদ্র ও অধিকার বঞ্চিত মানুষের কথা বলার জন্য। তা কতটুকু পেরেছেন বলতে না পারলেও তিনি বুঝেছেন স্ত্রী, সন্তানসহ পরিবারের লোকজনদের জন্য তিনি কিছুই করতে পারেননি।

এ বিষয়ে মরজাল ইউনিয়নের বাসিন্দা মোঃ শাহিন সংবাদকর্মীদেরকে জানান, তিনি দীর্ঘদিন সাংবাদিক পেশার সাথে জড়িত রয়েছেন। বিভিন্ন দূর্যোগের সময় তিনি এলাকার মানুষদের সেবায় নিয়োজিত ছিলেন। শীতের মধ্যে সাধারন মানুষদের মধ্যে কম্বল, বস্ত্র দিয়ে সাহায্য করেছেন।

করোনাকালীন সময়ে মানুষদেরকে সচেতন করতে মাস্ক দিয়ে সাহায্য করেছেন। এ জন্য আমরা গর্ববোধ করি। আরও গর্ববোধ করি যে, অনেক অভাব-অনটনের মধ্যেও তিনি নীতিতে অবিচল থেকে অসহায় মানুষদের পাশে থেকেছেন।

এদিকে সংবাদকর্মী রুদ্র তার বক্তব্যে বলেন, সংবাদ পেশা একটি সম্মানীয় পেশা। এই পেশাটি ৯ বছর যাবত সফলতার সাথে ধরে রাখার জন্য অনেক ঝড় ঝাপ্টা গেলেও পিছপা হইনি আমি। নিজের আদর্শের সঙ্গে আপোস করিনি কোনো দিন। সাধারন মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আগামী দিনগুলোতেও এই কাজের ধারা অব্যাহত থাকবে।