নরসিংদীর মরজালে আপন মামুর কাছে নির্যাতনের শিকার প্রতিবন্ধী ভাগ্নী

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় মরজালে প্রতিবন্ধী এক নারী শিরিনা তার মামুদের রোশানলে পড়েছেন।

শিরিনা তার বক্তবে বলেন, আমার আপন মামু বিল্লু মিয়া আমাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ঘর থেকে বের করে দেয়। অথচ আমি আমার মামুদের সাথে কোন সময়ই খারাপ আচরন করিনি অথচ আমার আপন মামু বিল্ল মিয়া আমার গায়ের কাপর ছিরে ফেলে শ্লীলতাহানি করেছে। আমি আমার সন্ত্রাসি মামুর ভয়ে পালিয়ে বেরাচ্ছি।

এই মারামারির ঘটনায় আমি নিজে বাদি হয়ে রায়পুরা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।

আমার ঐ অভিযোগের ভিত্তিতে রায়পুরা থানার পুলিশ এস আই হালিম দারোগা ঘঠনাস্থলে এসে বিষয়টি নিয়ে পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনের শেষে আমার মামুরা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার উপর অমানুষিক অত্যাচার চালাচ্ছে।

তাই আমি নরসিংদী জেলার পুলিশ সুপারের সহযোগিতা কামনা করছি।

এই অভিযোগের ভিত্তিতে বিল্লু মিয়ার নিকট সংবাদকর্মী রুদ্র ঘটনার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার মান সম্মান ক্ষুন্ন করতে আমার বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করছে যার কোনটাই সত্য না।

তিনি বলেন, আমাকে ঘায়েল করতে বিভিন্ন সময় আমার বোনের জামাইকে দিয়ে মারার হুমকিও দিয়ে আসছে তাই আমি সঠিক তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীকে খুজে বের করে আইনের আওতায় আনার জন্য জোর দাবি জানচ্ছি।

এই দিকে একই বাড়ির বাসিন্দা তাসলিমা বেগম সংবাদ কর্মীদেরকে জানান, তারা একই ফ্যামিলির লোক অথচ প্রতি পক্ষকে ঘায়েল করতে একজন আরেক জনকে মামলা দিচ্ছে।
অথচ তারা নিজেরা সমঝোতায় আসেই না কিন্তু মামলা করছে একাধিক।

এদিকে মরজাল এলাকার বাসিন্দা আসাদ মিয়া বলেন, বিল্লুর মা বিল্লুর বাবাকে মেরে ফেলেছে কিন্ত এখনো এই ফ্যামিলি টা কে কাকে কখন মারবে এইটা নিয়ে চলছে সমালোচনা।
এই দিকে এডভোকেট খুরসেদ আলম বলেন, এই সমস্ত অভিযোগগুলি প্রায়ই মিথ্যা বলে প্রমানিত হয় মুলত তাদের হলো জমি সংক্রন্ত বিরোধ।