ছাত্রীকে হয়রানি: বিচার না পেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ জানাবেন ইবি শিক্ষার্থীরা

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফারুক হোসেনের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। রবিবার (২০ জুন), বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত মানবন্ধেনে অংশ নেয় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শ্যামলী তানজিন বলেন, প্রায় ২০ জন নারী শিক্ষার্থীকে ফারুক অনলাইনে বিভিন্ন কুরূচিপূর্ণ প্রস্তাব ও হেনস্থা করেছে। সকলে সামাজিক মাধ্যমে তা প্রকাশ করেছে। অভিযোগ প্রদানের পরেও ফারুকের বিভিন্ন দাম্ভিকময় ফেসবুক স্টাটাস আমাদের ভীতির সঞ্চার করেছে। ক্যাম্পাসে ফারুক নাম শুনলেই আমাদের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। অভিযোগের দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের টালবাহানা আমাদের হতাশ করেছে।

আরিয়ান জিয়া নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, সুনির্দিষ্ট প্রমাণ থাকার পরেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদাসীনতা আরো নতুন ফারুকের সৃষ্টিতে উৎসাহিত করবে।

বক্তব্যে মোস্তাহাবিবুল ইসলাম বলেন, গতকাল একাডেমিক কাউন্সিলে যে নামমাত্র তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে, তা আমাদের কাছে আইওয়াশ বলে মনে হয়েছে। গণমাধ্যমে আমরা দেখেছি, তদন্ত কমিটির সদস্যরা নিজেরাও জানেন না তিনি কমিটির সদস্য! উপযুক্ত প্রমাণ থাকার পরেও দোষীর শাস্তি নিশ্চিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন কালক্ষেপণ অপরাধীকে রক্ষার প্রচেষ্টা ব্যতীত আর কিছু নয় বলেই আমরা মনে করি।

তন্ময় সেন বলেন, মেধাবীদের বিচরণক্ষেত্রে বখাটেদের এমন দাম্ভিকতা আমাদের ভাবিয়ে তুলছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অনতিবিলম্বে তদন্তপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান না করলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ইউজিসি এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় বরাবর যথাযথ বিচারের জন্য আবেদন করবে।

উল্লেখ্য, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থী প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বিভিন্ন কুপ্রস্তাব প্রদান করে হুমকি প্রদান করে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী ফারুক হোসেন। পরে এ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী স্টাটাস দিলে তা মুছে ফেলতে ছাত্রলীগ নেতাদের ও ক্যাম্পাসে বড় ভাইদের ভয় দেখানোর অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও ফারুকের বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসে প্রায় ডজনখানেক নারীকে উত্যক্ত করার অভিযোগ রয়েছে। কিছুদিন পূর্বে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঘুরতে গিয়ে এক নারী শিক্ষার্থীকে হেনস্তা করলে উক্ত শিক্ষার্থীদের সহপাঠীদের কর্তৃক গণপিটুনির শিকার হন অভিযুক্ত ফারুক।