নোয়াখালীতে এবার গণধর্ষণের শিকার দুই সন্তানের জননী

নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে দুই সন্তানের জননীকে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ এ ঘটনায় আমিনুল ইসলাম ও নিজাম উদ্দিন নামে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।

বৃহস্পতিবার এ ঘটনায় নির্যাতিতার বাবা বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে সোনাইমুড়ি থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।

নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপক জ্যোতি খিষা বলেন: খবর পেয়ে বুধবার মধ্যরাতে বারগাঁও ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের একটি পুকুর পাড় থেকে তাকে বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নির্যাতনের শিকার নারী নাটেশ্বর ইউনিয়নের পূর্ব নাটেশ্বর গ্রামের বাসিন্দা। এঘটনায় অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

ওই নারীর পরিবারের সদস্যরা জানান: মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নাটেশ্বর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে বের হলেও রাতে তিনি বাড়ি ফেরেননি। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে বুধবার সকালে সোনাইমুড়ি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে দৌলতপুর গ্রামের একটি পুকুর পাড় থেকে মধ্যরাতে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সোনাইমুড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে বৃহস্পতিবার ভোরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

‘বর্তমানে তিনি অনেকটা অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।’

তাকে অমানবিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন পরিবারের সদস্যরা।

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আরএমও সৈয়দ মহি উদ্দিন আব্দুল আজিম বলেন: ধর্ষণের অভিযোগে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নির্যাতনের শিকার ওই নারী শারীরিকভাবে অসুস্থ্য। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে।