পঞ্চগড়ের ঘাগড়া সীমান্তে ২টি স্বর্ণের বার উদ্ধার

পঞ্চগড় সদর উপজেলা হাড়িভাসা ইউনিয়নের ঘাগড়া সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে পাচারের সময় আবার ২টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করেছে বিজিবি’র ঘাগড়া বিওপি টহল বাহিনী।

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের মেইন পিলার ৭৫৫ এর ৩ নম্বর সাব পিলার এলাকায় বাংলাদেশের ২০০ গজ অভ্যন্তরে মাধুপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনায় স্বর্ণের বার দুইটি জব্দ করে বিজিবি। উদ্ধার হওয়া বার দুইটির ওজন ২.১২৬ কেজি (দুই কেজি ১২৬ গ্রাম) যার বাজার মূল্য এক কোটি ৬৬ লাখ ৩৮ হাজার ৭৬ টাকা।

এ নিয়ে উদ্ধার হওয়া মোট স্বর্ণের বারের সংখ্যা দাঁড়ালো ২২টি। এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর একই বিওপির আওতাধীন প্রধানপাড়া সীমান্তের মেইন পিলার ৭৫৫ এর ৪ নম্বর সাব পিলার এলাকায় ভারতে পাচারের সময় ১৯টি স্বর্ণের বার সহ জুয়েল (৩০) নামে এক চোরাকারবারীকে আটক করে বিজিবি। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। ওইদিন বিকেলে উদ্ধার করা হয় আরো একটি স্বর্ণের বার। উদ্ধার হওয়া ১৯.৯০৩ কেজি ওজনের (১৯ কেজি ৯০৩ গ্রাম) ২০টি স্বর্ণের বারের বাজার মূল্য ছিল ১৫ কোটি ৫৭ লাখ ৬০ হাজার ৮৭৮ টাকা।

বুধবার দুপুরে ঘাগড়া বিজিবি ক্যাম্প চত্বরে সংবাদ সম্মেলন করে বিজিবি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শোনান নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল আসাদুজ্জামান হাকিম। এ সময় তিনি জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ভারত সীমান্তে কোন কিছু পাচার হচ্ছে এমন সন্দেহে এক ব্যক্তিকে ধাওয়া করে বিজিবির টহল দল। ধাওয়া খেয়ে সন্দেহজনক ব্যক্তি ভারতের দিকে সীমান্তের শূণ্য রেখা অতিক্রম করে পালিয়ে যায়। এ সময় তার কাছে থাকা একটি শপিং ব্যাগ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ফেলে দেয়। বিজিবির টহলদল ওই ব্যাগ তুলে তল্লাশি করলে এই স্বর্ণের বার দুইটি পায়। তিনি আরো বলেন, ইতোপূর্বে এই এলাকার সীমান্ত দিয়ে বিভিন্ন পণ্য চোরাচালানের খবর পাওয়া গেলেও স্বর্ণ পাচার চেষ্টার ঘটনাটি নতুন। এটি একটি বড় চালান ছিলো।
বিজিবি অভিযান চালিয়ে স্বর্ণ উদ্ধারে সক্ষম হয়েছে। সীমান্তে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে। সংবাদ সম্মেলনে ৫৬ বিজিবি নীলফামারী ব্যাটলিয়নের অতিরিক্ত অধিনায়ক আলী আকবর, সহকারি পরিচালক জসিম উদ্দীন, ঘাগড়া বিওপি’র ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার নায়েব সুবেদার আনোয়ারুল ইসলাম প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।