পটুয়াখালীতে টিবি রোগে আক্রান্ত ইউনুসের পাশে দাঁড়িয়েও বাঁচাতে পারলেন না এমপি

জেলে পেশায় নির্ভরশীল হয়ে জীবীকা নির্বাহ করতেন ইউনুস হাওলাদার। নিজের কোন যায়গা জমি না থাকায় ঠাই মেলে সরকারি আবাসন পল্লীতে। আর সেখানেই তিন পুত্র, এক কন্যা ও স্ত্রীকে নিয়ে চলছিল টানাপোড়েনের সংসার। কিন্তু হঠাৎই একদিন অসুস্থ হয়ে পড়লে জানতে পারেন মরন ব্যধি টিবি রোগ বাসা বেঁধেছে জেলে ইউনুসের শরীরে। আর এতেই অভাবের সংসারে নেমে আসে দুঃখের খড়গ। এর পরে উন্নত চিকিৎসার অভাবে ধুঁকে ধুঁকে কেটে গেছে প্রায় একযুগ।

আর এই খবর স্থানীয় সংসদ সদস্য মহিব্বুর রহমানের কানে পৌঁছালে অসহায় এই জেলে পরিবারটির পাশে দাঁড়ান তিনি। প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থাসহ ওষুধ কেনার ব্যয় বহন করতে শুরু করেন। তবে বাঁচতে পারেননি ইউনুস।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) সকালে আবাসন পল্লীর ঘরে মৃত্যু বরন করেন তিনি। আর এই খবর শুনে সাংসদের অনুপস্থিতিতে তার সহধর্মিণীকে শোকাহত পরিবারের খোঁজ নিতে পাঠান এমপি। এমপির নির্দেশক্রমে এদিন দুপুরে উপজেলার নীলগঞ্জ ইউপির আবাসন পল্লীতে ছুটে যান তার মমতাময়ী স্ত্রী ফাতেমা আক্তার রেখা। তিনি শোকাহত পরিবারের মাঝে পৌঁছালে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। স্বামীহারা স্ত্রী শাহীদা বেগমের গগনবিদারী আহাজারিতে গোটা এলাকায় শোকের ছাঁয়া নেমে আসে।

এসময় বুকে জড়িয়ে পরম মমতায় ইউনুসের স্ত্রী সন্তানকে কাছে টেনে নিয়ে শান্তনা দেন এমপি পত্নী। এমনকি মৃত ব্যক্তির পরিবারের হাতে নগদ অর্থ তুলে দিয়ে পরবর্তী দোয়া মিলাদের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন তিনি। এছাড়াও ওই জেলে বধূর দায়িত্ব নেয়ার কথা জানান অধ্যক্ষ ফাতেমা।

এসময় তার সাথে উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য সালমা কবির এবং স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।