পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় মানসম্মত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত ভগিরথপুর প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার ৩৯ নং ভগিরথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশুরা মানসম্মত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এতে প্রধান শিক্ষক এবং শিক্ষা অফিসকে দায়ি করছেন অভিভাবক এবং স্থানীয়রা।

বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মরিয়ম বেগম এবং সভাপতি শামিম হাওলাদার। এছাড়াও বিদ্যালয়টি মনিটরিং করার জন্য রয়েছেন সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার গোলাম হায়দার। বিদ্যালয়টির পরিচালনা দেখে মনে হয়, এখানে সরকারের কোন নিয়ম চলে না-চলে প্রধান শিক্ষকের নিজস্ব নিয়ম।

বিদ্যালয়টির দোতলায় ভগিরথপুর পুলিশ ফাঁড়ি। নিচ তলার একটি কক্ষে পাঠদান আরেকটি কক্ষ অফিস হিসেবে ব্যবহার করা হয়। প্রাক প্রাথমিকের কোন কক্ষ নেই। বারান্দায় পাঠদান করানো সম্ভব না হলেও শুধু বসিয়ে রেখে ছুটি দেওয়া হয় শিশুদের। একটি কক্ষে পার্টিশন ছাড়াই ২ ক্লাসের শিশুদের বসানো হয়। ৫ জন শিক্ষকের এই বিদ্যালয়ে প্রতি পিরিয়ডে ক্লাস নিতে পারেন মাত্র ২ জন শিক্ষক।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৭ সালে নতুন ভবনের টেন্ডার হলেও কাজ শুরু হয় ২০২২ সালের শেষের দিকে। এতে বিদ্যালয়ের ২টি শ্রেনী কক্ষ ভেঙে ফেলা হয়। কিন্তু আপদকালীন অস্হায়ী গৃহ নির্মানের কোন ব্যবস্থা করেনি কর্তৃপক্ষ। স্কুল চলাকালীন সময়ে পাথর ভাঙার মেশিন চালায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। প্রচন্ড শব্দে কিছুই শোনে না শিক্ষার্থীরা।

জানা গেছে, বিদ্যালয়টিতে ২০২০-২১ অর্থ বছরে ক্ষুদ্র মেরামতের জন্য ২ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়। এ টাকা দিয়ে বিদ্যালয় ভবনের আংশিক রং করা হয়। আর পুরানো একটি টয়লেটে জোড়াতালি দিয়ে টিনশেডের নতুন একটি ওয়াসরুম তৈরি করা হয়। এ কাজ করেই ভাউচার তৈরি করা হয় ২ লাখ টাকার (ভ্যাট বাদে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা)। দৃশ্যমান কোন ব্যয় নেই স্লিপের টাকারও। প্রয়োজন না থাকলেও সংশ্লিষ্ট দপ্তরে সমর্পণ করা হয় নি প্রাক-প্রাথমিকের টাকা।

এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক মরিয়ম বেগম জানান,বিদ্যালয়টির শ্রেনী কক্ষ সংকট নিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট একাধিকবার আবেদন করেও কোন ফল পাই নি। তবে ২ লাখ টাকার কাজে অনিয়মের বিষয়ে কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি তিনি।