পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ৪ টি পানির ট্যাংক উদ্ধার

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার নিউমার্কেট পূর্ব কলেজ রোড এলাকা থেকে ৪ টি পানির ট্যাংক উদ্ধার করেছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মঠবাড়িয়া অফিস কর্তৃপক্ষ।স্থানীয়দের নিকট থেকে খবর পেয়ে এ ট্যাংকগুলো উদ্ধার করেছে তারা।

জানা গেছে, মঙ্গলবার (২ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে নিউ মার্কেট এলাকার আলমগীর হোসেনের ভাড়া বাসার সামনে লোকজন জড়ে হতে থাকে।এ সময় স্থানীয় দীপু, জাহাঙ্গীর এবং শাহ আলম ওই বাসার সামনে রাখা ট্যাংকিগুলো কিসের তা জানতে চায়।এরপর তারা গণমাধ্যম কর্মীদের খবর দেয়। গণমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতি টের পেয়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসের লোকজন ট্যাংকিগুলো অফিসে নিয়ে যায়।

আলমগীর হোসেন মঠবাড়িয়া উপজেলার পাঠাঘাটা এলাকার মৃত আব্দুর রশিদ হাওলাদারের পুত্র।তিনি মঠবাড়িয়া উপজেলায় নিরাপদ পানি সরবরাহ ট্যাংক বিতরনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোক বলে পরিচিত।

আলমগীর হোসেনের স্ত্রী জানান,প্রথমে তিন জন লোক এসে ট্যাংকিগুলো জোরপূর্বক নিয়ে যেতে চায়।এরপর আমরা বাঁধা দিলে আমাদের কাছে তারা ১০ হাজার টাকা দাবি করে।আমরা ৪ হাজার টাকা দেই।এরপর তারা একটি ট্যাংকি এলাকার মসজিদের জন্য নিয়ে যায়।জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী সেটিও তাদের অফিসে নিয়ে গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চার জনের নামে ট্যাংকিগুলো বরাদ্দ আছে।তারা হলেন- মার্জিয়া,জলিল,আলমগীর এবং রাহিলা বেগম।ট্যাংকিগুলো ৬ মাস ধরে এখানে কেন পড়ে আছে তার সদুত্তর দিতে পারেনি কেউ।স্থানীয়দের ধারনা এভাবে ভুয়া নামে বেনামে বরাদ্দ করা ট্যাংকি বিক্রি করার জন্য আরো থাকতে পারে। এগুলো খুঁজে বের করা দরকার। ধরা পড়লে যাদের নামে বরাদ্দ করা হয়েছে তাদের ডাকা হয় আর ধরা না পড়লে তারা আদৌ জানেই না।

খবর পাওয়া গেছে, উদ্ধার করা ট্যাংকিগুলো বৈধ করার জন্য সুকৌশলে কাজ করা শুরু করেছেন উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী আবদুস সাত্তার। অফিসে গিয়ে ট্যাংকিগুলো কোথায় রাখা হয়েছে এমন প্রশ্ন করতেই তেলে বেগুনে রেগে উঠেন তিনি। তিনি বলেন, ট্যাংকিগুলো জব্দ করা হয়নি। শুধুমাত্র ঘটনাস্থল থেকে অফিসে এনে রাখা হয়েছে। যার ট্যাংকি সে অফিসে এসে নিয়ে যাবে।

মঠবাড়িয়া থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) হালিম তালুকদার জানান, অভিযোগ পেলে কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।