প্রধানমন্ত্রীর ভুয়া স্বাক্ষর দিয়ে হাতিয়ে নিতো বড় অংকের টাকা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও এনএসআই এর মহাপরিচালকের (ডিজি) স্বাক্ষর ও সিল জাল করে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে ডিও লেটার পাঠিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসার অভিযোগে অসীম হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ জুন) সকালে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান নওগাঁর পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান মিয়া।

এরআগে, সোমবার (২১ জুন) সন্ধ্যায় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) ও নওগাঁ গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যৌথ অভিযানে নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার পাঁজরভাঙা বাজার এলাকা থেকে প্রতারক অসীম হোসেনকে (২০) গ্রেফতার করা হয়।

সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নামে ডিও লেটার পাঠিয়ে মানুষকে চাকরি দেওয়া, বদলি, পদোন্নতিসহ বিভিন্ন ধরনের সুপারিশ বাণিজ্য করে আসার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বিনিময়ে সুবিধা পাওয়া লোকদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিতেন তিনি।

পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান মিয়া বলেন, সম্প্রতি এক অভিযোগ সূত্রে এনএসআই জানতে পারে- অসীম হোসেন নামে এক ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী ও এনএসআইয়ের মহাপরিচালকের স্বাক্ষর জাল করে বিজিবি, কোস্ট গার্ডের প্রধান দপ্তরসহ সরকারি বিভিন্ন অফিসে ডিও লেটার পাঠিয়েছেন। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে দীর্ঘদিন ধরে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে তথ্যের সত্যতা সম্পর্কে অনুসন্ধান করে এনএসআইয়ের একটি বিশেষ দল। তার বিরুদ্ধে যথাযথ প্রমাণ মেলায় গত সোমবার অসীম কুমারকে আটক করা হয়।

এ সময় আটক ব্যক্তির কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম, দুটি মোবাইল সেট ও একটি হার্ডডিস্ক জব্দ করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে পাঠানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও এনএসআইয়ের মহাপরিচালকের স্বাক্ষর জাল করা ডিও লেটার উদ্ধার করা হয়।

এ বিষয়ে নওগাঁ ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম শামসুদ্দিন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক অসীম হোসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সরকারের বিভিন্ন সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর ও সিল জাল করে ডিও লেটার পাঠানোর সত্যতা স্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে পেনাল কোড ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।