বঙ্গোপসাগরে একাধিক মাছ ধরার ট্রলারে ডাকাতি, ডুবিয়ে দিয়েছে ১ টি ট্রলার

কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোসাগরে একাধিক মাছধরা ট্রলারে ডাকাতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া ১১ জেলেসহ এফবি ভাই ভাই নামের একটি ট্রলার ডুবিয়ে দিয়েছে ডাকাতদল।

বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) রাত সাড়ে আটটার দিকে সোনাচর সংলগ্ন গভীর সাগরের ছয়বাম (৬০ নটিক্যামাইল) এলাকায় এঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহিপুর মৎস্য আড়তদার মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি ফজলু গাজী।

এদিকে লুটপাট শেষে ডুবিয়ে দেয়া ট্রলারের ২ জেলেকে উদ্ধার করে ঘাটে ফিরেছে মা বাবার দোয়া নামের অপর একটি মাছ ধরা ট্রলার। বাকি ১০ জেলের সন্ধ্যান এখনও মেলেনি।
ভাই ভাই ট্রলারের জেলে ছালাম মিয়া জানান, ২২ থেকে ২৩ সদস্যের একটি ডাকাতদল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা চালিয়ে ট্রলারের মাছসহ সকল মালামাল ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং তাদের ট্রলারটি ডুবিয়ে দিয়ে যায়।

এসময় তারা আরও বেশ কয়েকটি ট্রলারে ডাকাতি করে। পরে মা বাবার দোয়া নামের ট্রলারটি তাঁদের উদ্ধার করে। কিন্তু এর আগে ডাকাতরা ওই ট্রলারেরও সব কিছু ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এফবি মা বাবার দোয়া ট্রলারের মালিক মহিপুরের নিজামপুর গ্রামের ইউসুফ মিয়া জানান, আমার ট্রলারে ১৫ জন স্টাফ ছিলো। ডাকাতদল সবাইকে মারধর করেছে। সব মালামাল নিয়ে গেছে। একই ট্রলারের মাঝি জিয়া মিয়া জানান, ডাকাতদল আমাদের ট্রলারে উঠেই মারধর শুরু করেছে। আমাদের ট্রলারের সব মালামাল নিয়ে গেছে। কোনমতে জানটা নিয়ে ফেরত এসেছি।

মহিপুর মৎস্য আড়তদার মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক রাজু আহমেদ রাজা জানান, গভীর সাগরে ডাকাতদল ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ডাকাতির কবলে পরা ৩ টি ট্রলার মহিপুরের ও বাকিগুলো বিভিন্ন এলাকার।

নিজামপুর কোষ্টগার্ডের কন্টিজেন্ট কমান্ডার, আরিফ হোসেন জানান, আমরা কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। মহিপুর থানার ওসি আবুল খায়ের জানান, এবিষয়ে কেউ এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ নিয়ে আসেনি।

এছাড়া এঘটনা আমার এরিয়ার মধ্যে না। পটুয়াখালী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ জানান, এ ঘটনা আমরা আপনারা সংবাদ কর্মীদের মাধ্যমে শুনেছি। ইতিমধ্যে কোষ্টগার্ড এবং নৌ-পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।