বাগেরহাটের শরণখোলায় বখাটে পুত্রের হাতে বাবা খুন

বাগেরহাটের শরণখোলায় বখাটে এক পুত্র তার বাবাকে নির্মম ভাবে মরিচ বাটার হাতল(পুতা) দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

হত্যাকারীকে আটক করেছে শরণখোলা থানা পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে ১৭ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের জীবনদুয়ারী গ্রামে।
ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায় উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের জীবনদুয়ারী গ্রামের মোঃ মতিউর রহমান(৮২) ৯ সন্তানের জনক।

ছেলেদের মধ্যে ৪র্থ আলাউদ্দিন এর আগে একটি বিয়ে করলেও সে বিয়ে টিকেনি তাই আবারো বিয়ে করার জন্য চাপ সৃষ্টি করলেও বাবা রাজি না। এ ঘটনার সূত্র ধরে বখাটে আলাউদ্দিন তার বাবা মতিউর রহমানকে ঘরের একটি কক্ষে আটকে মরিচ বাটার হাতল দিয়ে পিটিয়ে মাথা, হাত ও পা ভেঙ্গে গুড়া করে দেয়, এতে ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান।

মতিউরের ২য় পুত্র মোস্তাফিজুর রহমান জানায়, তার ভাই আলাউদ্দিন স্বাভাবিক জীবন জাপন করলেও প্রতিবেশিরা অনেকেই তার মস্তিষ্কে সমস্যা আছে বলেন কিন্তু তা ঠিক নয়। তিনি আরো বলেন বিভিন্ন চাওয়া পাওয়া নিয়ে এর আগেও কয়েকবার তার বাবাকে আলাউদ্দিন মারধোর করেছে। সে বখাটে হওয়ায় আমরা অন্য ভাইরা ভয়ে তাকে কিছু বলতে সাহস পাইনি।
আমার ধারনা সে পরিকল্পিত ভাবে বাবাকে হত্যা করেছে।
আলাউদ্দিনের ভাগনি উপজেলার রায়েন্দা রাজৈর আলিম মাদ্রাসার প্রথম বর্ষের ছাত্রী তানিয়া আক্তার বলেন, তার মামার মানসিক সমস্যা রয়েছে কিন্তু সেটা বেশি নয়। সে প্রায়ই ছোট খাট বিষয় নিয়ে মামাদের সাথে ঝামেলা করে এবং এর আগেও তার নানা মতিউরকে মারধোর করে একটি হাত ভেঙ্গে দিয়েছিলো। এ ঘটনায় অভিযুক্তের বড় ভাই মোঃ আবুল বাসার হাওলাদার বাদী হয়ে শরণখোলা থানায় একটি মামলা দায়ের করবেন বলে জানা গেছে।

ঘটনা শুনে শরণখোলা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইকরাম হোসেন ও অফিসার ইনচার্জ(তদন্ত) সুব্রত কুমার সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ঘাতক আলাউদ্দিনকে গ্রেফতার করেছেন।

এ ব্যাপারে শরণখোলা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইকরাম হোসেন বলেন, মতিউর রহমানের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে এবং সুরতহাল রিপোর্ট সম্পন্ন করা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। তবে এ ঘটনায় মামলা প্রস্তুতি চলছে।