মামলা তুলে না নিলে হত্যার হুমকি আসামীদের, বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

বাগেরহাটের শরণখোলায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধী ঘটনায় প্রতিপক্ষের হামলায় বাম পা বিচ্ছিন সহ গুরুতর জখম হন এমাদুল হক খাঁন। আশিংক বিচ্ছিন্ন হওয়া পায়ে পচন ধারায় বাম পা কেটে ফেলা হয়েছে। এ ঘটনায় আহতের ভাই রিয়াদুল ইসলাম বাদী হয়ে ৪/৫ জনকে আসামি করে শরণখোলায় থানায় একটি মামলা দায়ের করায় গ্রেপ্তার হন মোস্তফা, হেলাল সহ তিনজন।

পরে আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে বাদীসহ তার পরিবারকে মামলা তুলে না নিলে প্রাণনাশের হুমকি দেন মোস্তফা ও তার জামাই রহমান হাওলাদার।

হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে ১৩ জানুয়ারী সকাল ১১ টায় উপজেলার শরণখোলা গ্রামে মানববন্ধন করেছে এমাদুলের মা-বোন ও স্থানীয় ইউপি সদস্য সহ শতাধিক নারী পুরুষ।

এমাদুলের পরিবার সূত্রে জানায়, দীর্ঘদিনের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে গত ৩১ ডিসেম্বর রাতে এমাদুল হক খাঁন এশার নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার পথে তার চাচাতো ভাই মোস্তফা খাঁন তার জামাই রহমান হাওলাদার ও ভাই বেলাল, হেলাল ও সরোয়ার হাওলাদার মিলে চাইনিজ কুড়াল ও দা দিয়ে কুপিয় একটি পা প্রায় শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে।

স্থানীয়রা আশংকাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে শরনখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরে শারিরীক অবস্থার আরো অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

এমাদুলের মা হালিমা বেগম ও বোন শিউলি ও কাজল জানায়, তারা মোস্তফা ও তার ভাইদের ভয়ে রাত্রে ঘর থেকে বের হতে পারছে না প্রতিদিন বাড়ির সামনে দা কুড়াল নিয়ে আনাগোনা ও হুমকি দিচ্ছে। এ ঘটনায় তারা প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন। ঘটনার প্রতক্ষদর্শী রাহিলা বেগম বলেন, এরকম নৃশংস ঘটনা তিনি জীবনে কখনোই দেখেননি।

সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বাচ্চু মুন্সী জানায়, প্রতিপক্ষের হামলার ঘটনায় আহতের ভাই রিয়াদুল ইসলাম খাঁন বাদী হয়ে শরণখোলা থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ তাৎক্ষণিক একজনকে গ্রেফতার করে। পরে তারা আদালত থেকে জামিন নিয়ে বাড়িতে ফিরে এমাদুল ও তার পরিবারকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য ভয়ভীতি প্রদর্শন সহ জীবননাশের হুমকি দিচ্ছে।

মোস্তফা খাঁন, তার ভাইয়েরা ও তার জামাই অত্যন্ত দুর্র্ধষ প্রকৃতির তাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অপরাধের আরো অভিযোগ রয়েছে বলেও জানান তিনি।

শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এএইচ এম কামরুজ্জামান বলেন, জামিনে ছাড়া পেয়ে আসামিরা ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছে বিষয়টি তিনি জানেন না। তবে, খোঁজ খবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।