বাগেরহাটের শরণখোলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারকে প্রাননাশের হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

বাগেরহাটের শরণখোলায় এক বীর মুক্তিযোদ্ধার সরকার কতর্ৃক বন্দোবস্ত দেয়া জমি থেকে জোর করে গাছ কেটে নেয়া সহ মামলা হামলার ও প্রান নাশের হুমকি দিয়েছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। ওই চক্রের হাত থেকে বাঁচতে ১১ এপ্রিল সোমবার দুপুরে উপজেলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ হেমায়েত উদ্দিন।

 
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়নে বাংলা ৩ বৈশাখ ১৪৪০ ইংরেজী ১৬ এপ্রিল ১৯৯৭ তারিখে জারীকৃত সরকারী নীতিমালার ১৯ অনুচ্ছেদের আলোকে তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভূমি) কেএম মামুনুজ্জামান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে সরকার কতর্ৃক ৯৯ বছরের জন্য জমির বন্দোবস্ত দিলে ওই সময় আমি ও আমার স্ত্রী ছকিনা বেগমের নামে ১ একর জমি বন্দোবন্ত দিলে প্রায় ২০ বছর ধরে আমরা জমির ভোগ দখলে আছি। উপজেলার পশ্চিম রাজাপুর গ্রামের মোঃ ইউনুস হাং, খলিল হাং, জাহাঙ্গীর আকন, আঃ বারেক জোমাদ্দার, সহ ৮/১০ জনের একটি সংঘবদ্ধ চক্র আমার জমির গাছপালার মালিকানা দাবী করে কোর্টে একটি মামলা দায়ের করে। পরে ধানসাগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মইনুল ইসলাম টিপু সরেজমিনে তদন্ত করে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি ও ইউপি সদস্যদের নিয়া শালিশ বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি মিমাংসা গাছের মূল্য ও মামলা তুলে নেওয়া বাবদ ৬০,০০০/- টাকা নির্ধারণ করিলে আমরা তা পরিশোধ করি।

 
তিনি আরো জানান, গত ১ এপ্রিল চিকিৎসার জন্য ডাক্তার দেখাইতে খুলনা গেলে ওই সংঘবদ্ধ চক্রটি আমার বাড়িতে প্রবেশ করিয়া ৫/৬টি গাছ কাটিয়া নিয়া যায়। খুলনা হইতে ফিরে এসে গাছ কাটার কারণ জানতে চাইলে আমাকে মারপিট করা সহ প্রাণ নাশের হুমকি দেয় এবং আইনের আশ্রয় নেয়ার কথা বললে আমাকে ও আমার পরিবারকে শেষ করিয়া ফেলবে বলে শাসিয়ে যায়। এ বিষয়ে শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর অভিযোগ দায়ের করি।

 
এ ব্যাপারে প্রতিপক্ষ বারেক জোমাদ্দারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ভয়ভীতি ও প্রান নাশের হুমকির বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, তিনি কোন গাছ কাটেননি। অন্যকেই কাটছে কিনা জানিনা।

 
শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইকরাম হোসেন বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধার একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।