বাগেরহাটের শরণখোলায় মেয়াদউত্তীর্ণ স্যালাইন পুশের ঘটনায় অভিযোগ প্রত্যাহার

বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রোগীর শরীরে মেয়াদউত্তীর্ণ স্যালাইন পুশের ঘটনায় তদন্ত চলাকালীন সময়ে অভিযুক্ত নার্স শামিমা আক্তার ঘটনার জন্য ভুল স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করায় অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন রোগী আবু হানিফ হাওলাদারের ছেলে জাকারিয়া হাওলাদার।

সহকারি সিভিল সার্জন হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মেহেদী হাসান ও শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. এস এম ফয়সাল আহমেদ এর উপস্থিতিতে তদন্ত টিম রবিবার শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর আত্মীয় স্বজন, কর্তব্যরত নার্স, ডাক্তারসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলেন।

তদন্ত কাজ শুরু হওয়ার আগে নার্স শামিমা আক্তার শোকজের লিখিত জবাব দিয়েছেন। জবাবে ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, মঙ্গল ও বুধবার হাসপাতালে সাধারন রোগীদের পাশাপাশি ডায়রিয়া রোগীদের উপচে পড়া ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছিলাম। সারারাত ডিউটি করে খুব সকালে ষ্টক থেকে স্যালাইন টি পুশ করি। রোগীর স্বজনদের তাড়াহুড়ার কারণে মেয়াদের দিকটি খেয়াল করা হয়নি। এছাড়া নার্স শামিমা আক্তার নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে ভবিষ্যতে আরো বেশি সচেতন থাকার ব্যাপারে লিখিত মুচলেকা দিয়েছেন।

জানতে চাইলে তদন্ত দলের সদস্য ও আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. এস এম ফয়সাল আহমেদ জানান, রোগী আবু হানিফ হাওলাদার সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। রোগীর পুত্র তার অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডাঃ জালাল উদ্দিন বলেন, তদন্ত রিপোর্ট ও তদন্ত টিমের সুপারিশ অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া হাসপাতালের স্টোরে থাকা সকল ঔষধ ও স্যালাইনের মেয়াদ পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য স্টোর ইনচার্জ কে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত নার্স শামিমা আক্তার আবু হানিফ হাওলাদার (৬০) নামের এক রোগীর শরীরে দুইমাস আগে মেয়াদ শেষ হওয়া স্যালাইন পুশ করেন। এতে রোগীর শরীরে জ্বালা-যন্ত্রনার অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৭ এপ্রিল কর্তব্যরত নার্স শামীমা আক্তার কে শোকজ করে তিন দিনের মধ্যে কারন দর্শাতে বলা হয়। এছাড়া জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে তিন কর্ম দিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।