বিদেশি সংস্থাগুলো কেন বলছে আ.লীগ আবারও জয়ী হবে?

ভোটের লড়াইয়ে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে এমন সব সূচকেই গত ১০ বছরে ঈর্ষণীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে বাংলাদেশ। যার স্বীকৃতি মিলছে দেশি-বিদেশি গবেষণা সংস্থা কিংবা উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকেও। আর এ কারণেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারো বড় জয় নিয়ে ক্ষমতায় আসবে আওয়ামী লীগ- এমনই পর্যবেক্ষণ বিদেশি সংস্থাগুলোর।

যদিও বিশ্লেষকরা বলছেন, পরবর্তী সরকারের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে প্রশাসনিক দুর্নীতি প্রতিরোধ আর উপযুক্ত ব্যক্তির পদায়ন নিশ্চিত করা।

২০০৮ সালে নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার। প্রায় ভঙ্গুর অর্থনীতির বাংলাদেশ গেল ১০ বছরে পৌঁছেছে অনন্য উচ্চতায়।

এ অর্জনের ধারাবাহিক স্বীকৃতি আসছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে। এক জরিপে লন্ডনভিত্তিক প্রাইসওয়াটার হাউজকুপার’স বলছে ২০৩০ সালেই ২৮তম শীর্ষ অর্থনীতির দেশ হবে বাংলাদেশ। যদিও এইএচবিসি’র মতে, এসময় বাংলাদেশ হবে ২৬তম। দশ বছরে রিজার্ভ ছাড়িয়েছে ৩৩ বিলিয়ন ডলার, প্রতি বছর রেমিটেন্স আসছে ১৫ বিলিয়ন ডলার। মাথাপিছু আয় এখন ১৭৫০ ডলার, সরকারিভাবে চালু হয়েছে ১৫৯টি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি।

এফিবিসিসিআই এর শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের দেশকে ফোকাস করছে কারণ, সামাজিক অর্থনীতির ভিত্তিতে আমরা অনেকদূর উন্নতি করেছি।

অর্থনীতিতে স্থিতি আনার এ সাফল্যর কারণেই বড় জয় নিয়ে আবার ক্ষমতাসীন হবে আওয়ামী লীগ- এমনই আভাস আন্তর্জাতিক অর্থনীতি বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান ইকোনোমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের। এমন পর্যালোচনার সঙ্গে আগামীর সরকারের সামনের চ্যালেঞ্জগুলোও তুলে ধরেছে সংস্থাটি।

পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, আগামীতেও অর্থনীতির এই উন্নয়ন বজায় রাখতে হলে প্রশাসনিকভাবে দক্ষ ব্যক্তিকে মন্ত্রিসভা বা অন্যান্য জায়গা মতো বসানোর প্রয়োজন হবে।

ই আই ইউ মনে করে, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বঙ্গোপসাগরে কৌশলগত অবস্থান শক্তিশালী করার সঙ্গে আন্তর্জাতিকভাবেও মিয়ানমারকে চাপে রাখার ওপর জোর দেয়া উচিত বাংলাদেশের।