ব্রণের চিকিৎসায় চুমু, তরুণীর স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিলেন পপুলারের চিকিৎসক

রাজধানীর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী চর্ম ও যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ এবং লেজার কসমেটিক সার্জন ডা. মো. শওকত হায়দারের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছেন।

ব্রণের ইনফেকশন আছে কিনা দেখার ছলে ওই ডাক্তার তার গালে চুমু ও শরীরে হাত দিয়েছেন বলে লিখিত অভিযোগ করেন ওই তরুণী।

রাজধানীর ধানমন্ডির পপুলার হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগে এসব জানান ওই তরুণী।

ঘটনার বিবরণে ওই তরুণী জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ত্বকে ব্রণের সমস্যা নিয়ে পরিচিত একজনের রেফারেন্সে প্রথমবার পপুলার হাসপাতালের ওই ডাক্তারের কাছে যান তিনি। পরবর্তীতে চিকিৎসার প্রয়োজনে আরো কয়েকবার ডাক্তারের কাছে যান তিনি।

সর্বশেষ শনিবার দুপুরে ওই তরুণী ডা. শওকতকে জানান তার ত্বকের সমস্যা আবার বেড়েছে, রাতে তিনি চেম্বারে বসবেন কিনা? এসময় ওই ডাক্তার চেম্বারেই আছেন জানিয়ে মেয়েটিকে তখনই যেতে বলেন।

পরে ডাক্তারের চেম্বারে গিয়ে ওই তরুণী জানতে চান তার সমস্যার কোনো স্থায়ী সমাধান আছে কিনা। এসময় সেই ডা. শওকত বলেন, যদি সে চায় তবে একটা ইনজেকশন দেওয়া যেতে পারে। তরুণী ইনজেকশন দিতে রাজি হলে ওই ডাক্তার তার বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন।

পরে ওই তরুণী চেম্বার থেকে বেরিয়ে আসার সময় তার মুখে ইনফেকশন দেখার কথা বলে চুমু দেন।

অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত চর্ম ও যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ এবং লেজার কসমেটিক সার্জন ডা. মো. শওকত হায়দারের মতামত জানতে তাকে ফোন দিলে তিনি তা কেটে দেন।

পপুলার হাসপাতালের মানবসম্পদ ও প্রশাসন বিভাগের প্রধান অচিন্ত্যকুমার নাগ জানান, এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় তারা বিব্রতবোধ করছেন। দ্রুতই তদন্তসাপেক্ষে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন তারা। অপরাধীকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলে আশ্বস্ত করেন তিনি। -সময় সংবাদ প্রতিবেদন।