যশোরের মণিরামপুরে কাভার্ডভ্যান চাপায় নিহতের ৩ শিশু সন্তানকে নিয়ে নির্বাক আমেনা!

যশোরের মনিরামপুরে কাভার্ডভ্যান চাপায় নিহত তৌহিদুল ইসলামের রেখে যাওয়া স্ত্রী, তিন শিশু সন্তান এবং ছোট একখন্ড জমিতে কুড়ে ঘর ছাড়া কিছুই নেয়।

মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় স্বামী তৌহিদুলের মৃত্যুর পর স্ত্রী আমেনা বেগমের স্বান্তনা দেওয়ার মতো কিছুই নেয়। একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হঠাৎ চলে যাওয়ায় অনাগত তিন শিশু সন্তানকে নিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন আমেনা। স্বামী তৌহিদুল ইসলাম বেগারীতলা বাজারে বাঁশের হাটে শ্রমিকের কাজ করে সংসার চালাতেন। শনিবার নিহত তৌহিদুল ইসলামের বাড়িতে গেলে এসব চিত্র চোখে পড়ে সাংবাদিকদের।

অবুঝ তিন সন্তানের অনাগত ভবিষ্যত নিয়ে মা আমেনা বেগম চরম দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন। বড় মেয়ের ৩ বছর আগে বিয়ে দিয়েছেন তার পিতা তৌহিদুল। মেঝ মেয়ে সোহানা খাতুন ২য় শ্রেনিতে, সেজেজন শাওন হোসেন ১ম শ্রেনিতে আর ৫ মাসের হাফসা খাতুন মায়ের কোলে বসে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকাচ্ছিলেন বাড়িতে আসা লোকজনদের দিকে।
প্রতিবেশি শামছুন্নাহার, সিরাজুল ইসলামসহ অনেকেই বলেন, নিহত তৌহিদুলের সহায় সম্বল কিছুই নেই। ভাঙ্গা চুরা বাড়িটিও পরের জমিতে।

এদিকে কাভার্ডভ্যান চাপায় নিহতের ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। নিহত হাবিবুর রহমানের ছোট ভাই ইব্রাহিম খলিল বাদি হয়ে শনিবার মামলাটি দায়ের করেন বলে মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মনিরুজ্জামান জানান।
উল্লেখ্য- শুক্রবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে বেগারিতলা বাজারে কাভার্ডভ্যান চাপায় নিহত ৫ জনের মধ্যে তৌহিদুল ইসলাম একজন।