ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট প্রেসক্লাবের ১৪ সদস্যদের পদত্যাগ

অনিয়ম আর স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটি-সাধারণ সদস্য পদ হতে ২২ জন সদস্যের মধ্যে ১৪ জন সদস্যই পদত্যাগ করেছেন।

শনিবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে হালুয়াঘাট প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক বরাবরে লিখিতভাবে একযোগে পদত্যাগ পত্র জমা দেন সদস্যবৃন্দ। পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করেন প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জোটন চন্দ্র ঘোষ। পদত্যাগকৃত সদস্যরা হলেন, মো. বাবুল হোসেন (ভোরের কাগজ), মো. আব্দুর রাজ্জাক (ইত্তেফাক), ওমর ফারুক সুমন (আনন্দ টিভি, মানবজমিন), আব্দুল হক লিটন (আমাদের সময়), শুভাশীষ সরকার শুভ (ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস), মাজহারুল ইসলাম মিশু (কালের কণ্ঠ), সাইদুর রহমান রাজু (বাংলাদেশ প্রতিদিন), এম এ খালেক (এশিয়ান টিভি), এম এ মালেক (আজকালের খবর), মো. আব্দুল আউয়াল (মানবকন্ঠ), মো. জুলফিকার আলী জুলমত (কালবেলা), মো. আনছারুল হক রাসেল (আলোকিত সকাল), দুলাল রায় (ঢাকার ডাক), মো. শাহাদাৎ আলী (দিগন্ত বাংলা)।

এবিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিক বাবুল হোসেন বলেন, বিগত সময়ে প্রেসক্লাবকে কেন্দ্র করে কতিপয় সদস্যের ভূমিকা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ ও বিতর্কিত। ইতিমধ্যে প্রেসক্লাবের নির্বাচন নিয়ে যে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। প্রেসক্লাব সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ রাখে। কিন্তু এখানে আমরা সেটা দেখতে পাইনি। আমি প্রেসক্লাব হালুয়াঘাটে প্রতিষ্ঠা করেছি। এটি নিয়ে ষড়যন্ত্র আমি কিছুতেই মেনে নিতে পারিনা।

সাংবাদিক ওমর ফারুক সুমন বলেন, প্রত্যেক সংগঠন একটি নির্দিষ্ট গঠনতন্ত্র ও নিয়মের মধ্য দিয়ে চলে। এখানে কোনো নিয়ম লাগেনা, যখন যা ইচ্ছে তাই করা হচ্ছে। গত সাধারণ সভা ও কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগামী ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন হওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সেই লক্ষ্যে গত ৩০ নভেম্বর প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন কমিশনারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের কথা ছিলো। কিন্তু সভাপতি তার একক সিদ্ধান্তে নির্বাচন স্থগিত করে দিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন।

সভাপতির অনিয়ম আর স্বেচ্ছাচারিতার কারনেই আমরা ১৪ জন সদস্য একসাথে পদত্যাগ করেছি। জানা যায়, পদত্যাগ সদস্যদের মধ্যে প্রেসক্লাবের একাধিক কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যও রয়েছেন।