যশোরের মণিরামপুরে নিত্যপণ্যের দামে বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ

চাল, ডাল, চিনি, লবণ, তেলসহ নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে তো বাড়ছেই যশোরের মণিরামপুর ও রাজগঞ্জে। শুধু নিত্যপণ্য নয়, সবকিছুরই দাম বেশি। এতে কপালে ভাঁজ পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষের। অল্প রোজগারে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে অনেকেই। ব্যবসায়ীরা বলছেন- বেশি দামে পণ্য কিনতে হচ্ছে। অনেক সময় বেশি দাম দিয়েও সময়মতো পণ্য সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে না।
প্রতিযোগিতার বাজারে নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি রাখার সুযোগ নেই। অন্যদিকে প্রশাসন বলছে- দ্রব্যমূল্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে তদারকি জোরদার করা হয়েছে। চাল যেনো কোনো মিলার বা কোনো অসাধু ব্যবসায়ী মজুত করে রাখতে না পারে। সে জন্য খাদ্য বিভাগকে অভিযান জোরদার করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া নিম্ন আয়ের মানুষের কথা বিবেচনা করে খুব শিগগিরই টিসিবি কার্যক্রম চালু করা হবে।
মণিরামপুর ও রাজগঞ্জ বাজার ঘুরে দেখা গেছে- চাল, ডাল, তেল, লবণ। সবকিছুরই দাম বেশি। ১৪ টাকা কেজির খোলা লবণের দাম এখন ১৮ থেকে ২০ টাকা। বেড়েছে ডাল, আলুর দামও। সবজির দাম কিছুটা কম থাকলেও কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ, রসুনের দাম বেড়েছে। পুকুর, বিল, নদীর মাছ পাওয়া তো দূরের কথা, বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে চাষের মাছ। ব্রয়লার, কক মুরগির দামও বেশি। গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬৫০ টাকা আর খাশির মাংস প্রতি কেজি ৯০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন- সবকিছুরই দাম বাড়ছে।
এদিন রাজগঞ্জ বাজারের কয়েকজন ব্যাটারিচালিত ভ্যান, রিকশাচালক, ও খেটে খাওয়া মানুষের সঙ্গে কথা হয়।
তারা বললেন- কোনোভাবেই তাল মেলাতে পারছেন না বাজারের নিত্যপণ্যের দামের সঙ্গে।
রাজগঞ্জ বাজারের একজন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ বলেন- আমরা নিম্ন আয়ের মানুষ। সবকিছুরই দাম বাড়ছে।
কিন্তু আয় বাড়ছে না। সংসার চালানো খুব কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে।
আরো একজন বলেন- বাজারে যেভাবে চাল-ডাল, তেলসহ অন্যান্য জিনিসের দাম বাড়ছে, তাতে সংসার চালানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।
এ বিষয়ে মণিরামপুর উপজেলা প্রশাসন থেকে বলা হচ্ছে- দ্রব্যমূল্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে তদারকি জোরদার করা হয়েছে।