রংপুরের মিঠাপুকুরে অবৈধ বালু উত্তোলনের মহোৎসব, নিরব প্রশাসন

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় আবারো চলছে বালু উত্তোলনের মহোৎসব। এতে হুমকির মুখে পড়ছে কৃষি জমি, ঘাঘট নদী সংলগ্ন বাড়িঘর,রাস্তাঘাট এবং বিদ্যালয়। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে পেশী আর রাজনৈতিক শক্তি ব্যবহার করেই চলছে বালু উত্তোলনের এমন অরাজকতা। সংশ্লিষ্ট সূত্র-গুলো বলছে প্রশাসনের সঙ্গে সখ্যতা করেই তারা বালু উত্তোলন করছে। এজন্যই নিষ্ক্রিয় রয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ ইউনিয়নের বেলবাড়ি(বিন্যাটারি) এলাকায় দীর্ঘদিন থেকে বালু উত্তোলন করেছে পলাশ গং। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান,পলাশ গংয়ের রয়েছে নিজস্ব বাহিনী। অবৈধ বালু উত্তোলনের বিষয়ে প্রতিবাদ করলেই রয়েছে হামলার ভয়।আর প্রশাসনের সঙ্গে রয়েছে তার সখ্যতা।এজন্যই দীর্ঘদিন থেকে ঘাঘট নদী থেকে বালু উত্তোলন করেছে পলাশ। প্রশাসনকে স্থানীয়রা বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ দিলেও প্রশাসন তা কর্নাপাত করেনা।

পায়রাবন্দের পাশ্ববর্তী ইউনিয়ন ভাংনী ইউনিয়নের তেমনি ঘাট রোডের উত্তর তাজপুর এলাকায় গিয়ে দেখা যায় স্থানীয় বালু ব্যবসায়ি আখিরুল ইসলাম ঘাঘট নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। বালু উত্তোলনের ফলে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে কৃষিজমি। বালু ব্যবসায়ি আখিরুল ইসলাম জানান,ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতা আমার ভাগিনার রুমমেট বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার রকিবুল হাসান। তার ভাগ্নের সূত্র ধরেই ইউএনও এর মৌখিক অনুমতি নিয়েই বালু উত্তোলন করছেন তিনি।স্থানীয়রা জানান,পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ম্যানেজ করেই বালু উত্তোলন করছে আখিরুল। আর আখিরুলের ভাগ্নে হচ্ছে প্রভাবশালী সরকারদলীয় নেতা। এই ভয়েই অবৈধ বালু উত্তোলনের বিষয়ে এলাকাবাসী কেউ অভিযোগ তুলে না। অন্যদিকে উপজেলার কাফ্রিখাল ইউনিয়নের উচাঁ মসজিদ সংলগ্ন রাস্তার পাশেই ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে রাস্তার একাংশ ধ্বংসে যাচ্ছে। একই অবস্থা ভাংনী ইউনিয়নের হুলাশুগঞ্জ বাজার এলাকায়।

এ বিষয়ে মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রকিবুল হাসান জানান, বালু উত্তোলনের বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। শীঘ্রই অভিযান পরিচালনা করা হবে। আমার নাম ব্যবহার করছে ঠিক তেমনটা নয়, তবে ভার্সিটিতে একজন আমার সঙ্গে একই হলে ছিলো। সেই বিষয়ে হয়তোবা তার নিকটাত্মীয় কেউ আমার পরিচয় বহন করেছে।