শেরপুরে ১০ টাকায় গরু গোশত ও কাপড়ের বাজার

“সব দায়িত্ব রাষ্ট্রের নয়, কিছু দায়িত্ব আমার কিছু আপনার” এই স্লোগানকে সামনে রেখে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শেরপুরে ১০ টাকার বিনিময়ে গরুর গোশত ও কাপড়ের বাজার উদ্ভোধন হয়েছে।

নিম্ন আয়ের-দুস্থদের জন্য এ ব্যতিক্রমী আয়োজন করেছে শেরপুর জেলার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘আজকের তারুণ্য’। শুক্রবার (৫ই এপ্রিল) সংগঠনটির উদ্যোগে শেরপুর সরকারি কলেজ প্রাঙ্গনে স্থানীয় নিম্নআয়ের ও দুস্থদের মাঝে নামে মাত্র ১০ টাকার বিনিময়ে গরুর মাংস, শাড়ী ও লুঙ্গি বিক্রি করেছেন এ সংগঠন। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এই বাজারে শুনতে অবাক লাগলেও বিষয়টি সাড়া ফেলেছে স্থানীয়দের মাঝে।

সরেজমিনে দেখা যায়, শেরপুর সরকারি কলেজের বটমূলের পাশে একটি ব্যানার টাঙিয়ে বসছে ‘১০টাকার গরু গোশত ও কাপড়ের বাজার ’ নামে স্টল। নামমাত্র মূল্যে গরুর মাংস কিনতে হাজির হয় শতশত দুস্থ মানুষ। স্টলের সামনে থেকে প্রতি পরিবার কিনে নিচ্ছে শাড়ী, লুঙ্গি ও গরুর গোশত। সংগঠনের সদস্যরা তাদের কাছ থেকে নিচ্ছে মাত্র ১০ টাকা। হাসি মুখে বাড়ি ফিরছে সকলে। এমন উদ্যোগে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন নিম্নআয়ের হতদরিদ্র মানুষ।

উদ্যোক্তারা জানান, বাজারে এক কেজি গরুর মাংস ৬০০-৭০০ টাকা, এজন্য অনেকদিন ধরে গরুর মাংসের স্বাদ পাই না নিম্নশ্রেণীর মানুষ। সামনে ঈদুল ফিতর, অনেক পরিবার নতুন জামা কিনতে পারে না তাই আমরা উদ্যোগ নিয়েছি এ শ্রেণির মানুষদের পাশে দাড়াবো।

গরু গোশত ও কাপড় কিনতে আসা এক ব্যক্তি বলেন, ১০ টাকায় গরুর মাংস পাওয়ায় অনেক আনন্দ লাগতাছে। এখানে আমার মতো অনেকে আসছে। যারা গরিব তাদেরই দেওয়া হইতাছে। খুব সুন্দর আয়োজন।

আয়োজক সংগঠন ‘আজকের তারুণ্য’ সংগঠনের সভাপতি রবিউল ইসলাম রতন জানান, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে নিম্নআয়ের মানুষদের নিত্যপণ্য কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে৷ তাদের কাছে মাংস কেনাটা একটি বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তাই কোন প্রকার দান কিংবা সহযোগিতা নয়, নিম্নআয়ের মানুষ যেন মাংস খেতে পারে সেই লক্ষ্যে এমন উদ্যোগ। পাশাপাশি শাড়ী ও লুঙ্গিও দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন প্রথম দিন প্রায় ২০০ পরিবারের জন্য এ আয়োজন করা হয়েছে।