খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের ভবন ধসের ঘটনায়

শ্রমিক হতাহতের কারনে পৃথক ২টি তদন্ত কমিটি গঠন

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলাতে ছাদ ধসে ঘটনায় শ্রমিক হতাহতের কারনে পৃথক ২টি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

পার্বত্য জেলা পরিষদের কেন্ডিলিবারের ছাদ ধসে দুই শ্রমিক নিহত ও ৯জন শ্রমিক আহত হওয়ার ঘটনায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ৪ সদস্যের পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় অতিরিক্ত সচিব মো: আমিনুল ইসলামকে প্রধান করে গঠিত কমিটির অপর সদস্যরা হচ্ছে, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের একজন উপ-সচিব আশীষ কুমার সাহা, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী।

বিষয়টি এ প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেছেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
এর আগে ঘটনার দিন রাতে শনিবার (৮ই অক্টোবর) শ্রমিক হতাহতের অনাকাক্সিখত ঘটনার কারণ উদঘাটন ও দায়-দায়িত্ব নির্ধারণের খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রুফ চৌধুরী অপু ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য কল্যাণ মিত্র বড়ুয়াকে প্রধান করে গঠিত কমিটিকে ৭কার্যদিবসে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কমিটির অপর ২জন সদস্য হলেন খাগড়াছড়ি গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ও খাগড়াছড়ি এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী।

এদিকে নির্মাণ কাজের ঠিকাদারকে এবং প্রকল্পের ব্যয় কত টাকা এ নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়ে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের কেউই মুখ খুলছে না। মর্মান্তিক প্রাণহানির এই ঘটনার পর ঠিকাদার লাপাত্তা রয়েছে।

ঘটনার সময় বিকাল ৪টায় খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সম্প্রসারিত ভবনের সামনের অংশের ছাদ ধালাইয়ে ১৬জন শ্রমিক কাজ করছিলেন। ২০১৮সালের দিকে পার্বত্য জেলা পরিষদের প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ভবনটার সামনের অংশে ১৬জন শ্রমিক কাজ করছিলেন বলে জানা গেছে। অর্থাৎ নির্মাণাধীণ ভবেন ১৬জন শ্রমিক কাজ করছিলো।
উল্লেখ্য, গত শনিবার(৮ই অক্টোবর) বিকেল ৪টায় পার্বত্য জেলা পরিষদের নতুন ভবনের সম্মুখভাগে ছাদ ভেঙ্গে পড়ে ২জন নির্মাণ শ্রমিক নিহত ও ৯জন শ্রমিক আহত হয়। নির্মানধীন চলমান অবস্থায় জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ চত্বরে সম্প্রসারিত ছাদের ধালাই চলাকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পার্বত্য জেলা পরিষদের নতুন ভবনের ছাদ ঢালাই কাজের সময় ভবনের একাংশ ধসে পড়েছে।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ভবনে আরো কয়েকজন নির্মান শ্রমিক আটকা আছে। পার্বত্য জেলা পরিষদে নির্মানাধীন ভবন ধসের পর চলে রাত ১২টা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান। এর পর সমাপ্ত ঘোষনা করেন। খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ নিহত দুই শ্রমিকের পরিবারকে ১লাখ টাকা করে আর্থিক সহযোগিতা করেন ও আহতদের সু-চিকিৎসা দায়িত্ব নেন।