গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ইউ’পি সদস্যের দূর্নীতি অনুসন্ধানে গেলে

সাংবাদিকের মোবাইল ছিনতাই ও সহযোগিতাকারীকে মারপিট

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ শালমারা ইউনিয়নে ভিজিএফের চাল আত্নসাতের অভিযোগ উঠায় সুবিধাভোগিরদের তালিকা মোতাবেক স্থানীয় ৩ জন সাংবাদিক অনুসন্ধানে গেলে ইউ’পি সদস্য দুদু মিয়া তাদের মোবাইল ছিনতাই ও সহযোগিতাকারি আব্দুস সালামকে মারপিট করেছে।

সম্প্রতি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শালমারা ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নং ইউ’পি সদস্য দুদু মিয়া খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কার্ড অনলাইন করার বিষয়ে নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়ে। এতে ওই এলাকার ভুক্তভোগিরা গত ২ নভেম্বর শালমারা রেলষ্টেশনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। ওই সমাবেশে স্হানীয় হতদরিদ্ররা গত ঈদ-উল আযহায় ইউ’পি সদস্য দুদু মিয়ার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ ভিজিএফের কোন প্রকার চাল সুবিধাভোগি তালিকা ভুক্তদের মাঝে বিতরন না আত্বসাত করেছেন বলে তারা অভিযোগ তোলেন।

ওই ইউনিয়নে ভিজিএফের সুবিধাভোগিদের তালিকা সংগ্রহ করে গত ১ ডিসেম্বর সোয়া ১২ টার দিকে সাংবাদিক আলমগীর হোসেন, শেখ মামুন হাসান ও নাঈম হোসেন এ ঘটনার সত্যতা জানার জন্য শালমারা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডে অনুসন্ধানে যান।

অনুসন্ধানে ভিজিএফের তালিকাভুক্ত ৬৫৩ ও ৬৫৪ নাম্বারে ওই ওয়ার্ডের বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ গফুর তার স্ত্রী মোছাঃ জায়দা বেগম এবং ৬৫০ ও ৬৫১ নং নাম্বারে হতদরিদ্র এনামুল হক এবং ঠান্ডু মিয়াসহ আরো অনেক সুবিধাভোগিদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা জানান, ইউ’পি সদস্য দুদু মিয়া ঈদ-উল আযহায় তাদের কোন ভিজিএফ এর চাল দেননি। এসব অনুসন্ধান শেষে ওই দিন বিকেল পৌনে ৪ টার দিকে শালমারা রেলষ্টেশন থেকে শালমারা বাজারে পায়ে হেটে আসার পথে ইউ’পি সদস্য দুদু মিয়া খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার সাজু মিয়ার গোডাউনের কাছে পৌছা মাত্র সাংবাদিকদের এ কাজে সহযোগিতাকারী আঃ সালামের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে পাকা রাস্তায় ফেলে দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করে। তার এই দৃশ্য সাংবাদিকেরা ক্যামেরায় ধারন করে। দুদু মিয়া ছালামকে ছেড়ে দিয়ে সাংবাদিক নাঈমের স্মার্ট ফোন ছিনিয়ে নিয়ে সাংবাদিক শেখ মামুন হাসানের ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য ধস্তাধস্তি করে। পরে স্হানীয় লোকজন আঃ সালামকে আহত অবস্হায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়।

এ ব্যাপরে সাংবাদিক আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে ইউ’পি সদস্য দুদু মিয়াকে আসামী করে ওই রাতেই থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন।

গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ইজার উদ্দিন এসআই প্রলয় কুমারকে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্হা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।