সিলেটের গোলাপগঞ্জ থানার ৫ কর্মকর্তার উপর সাধারণ মানুষের ক্ষোভ, বদলীর দাবী

সিলেটের গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ৫ পুলিশ কর্মকর্তার উপর সাধারণ মানুষের ক্ষোভের শেষ নেই। দীর্ঘ দিনের অনেক মানুষের চাপা পড়া ক্ষোভ প্রকাশ্যে আসে (মঙ্গলবার ৩ অক্টোর) পরিবহন শ্রমিকদের প্রতিবাদ ও মহাসড়ক অবরোধ কে ঘিরে। পরিবহন শ্রমিকদের সাথে অনেকে একাত্বতাবোধ শিকার করেন।

এ দিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক ভূক্তভোগী জানান, গোলাপগঞ্জ থানার বর্তমান ওসি থানায় কোন কাজ নিয়ে গেলে সততার বাণী শোনান, কিন্তু অন্তরালে মোটা অংকের টাকা ছাড়া তিনি কিছুই করেন না। এমনও অভিযোগ করেন ছোট খাটোও বিষয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আসামী ধরে এনে মামলা রেকর্ড করে থাকেন। এসব অভিযোগের তীর বেশির ভাগ ছুঁড়ছেন গোলাপগঞ্জ থানায় কর্মরত এস আই হাফিজের দিকে।

তাছাড়া ও রয়েছেন এস আই এখলাছসহ ওসি তদন্ত সুমন চন্দ্র সরকার, ওসি রফিকুল ইসলাম সহ লুৎফরে উপর নানা অভিযোগ সাধারণ মানুষের। ভূক্তভোগী অনেকে জানান, অনেক সময় মিথ্যা হয়রাণী মূলক অনেকে গ্রাস মিটাতে থানা পুলিশের সাথে চুক্তি করে আসামী থানায় ধরে এনে মামলা রেকর্ড করেন বলে জানান। অনেকে পুলিশি হয়রাণী না হওয়ার জন্য কোন প্রতিবাদ না করে চুপ থেকে আদালত মাধ্যমে জামিনে থাকছেন।

সম্প্রতি (মঙ্গলবার ৩ অক্টোর) গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ওসির স্বাক্ষর নিয়ে পরিবহন শ্রমিক নেতাদের সাথে ঝামেলা সৃষ্টি গোলাপগঞ্জ পৌর শহরে তোলপাড়া সৃষ্টি।
ওসিসহ পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তার পদত্যাগের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন পরিবহন শ্রমিকরা। মঙ্গলবার (মঙ্গলবার ৩ অক্টোর) সকাল ১১টায় গোলাপগঞ্জ পৌর শহরে বাস, ট্রাক, অটোরিকশা, মাইক্রোবাস চালক শ্রমিকরা সিলেট-জকিগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে।

এদিকে সড়ক অবরোধের ফলে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের দু’পাশে শতশত গাড়ি আটকা পড়ে। অনেককে গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে হেঁটে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিতে হয়। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। অন্যদিকে শ্রমিক নেতারা সন্ধ্যায় পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারদের সাথে বৈঠক করেন। এ সময় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিলে পরিবহন শ্রমিকরা ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে অবরোধ তুলে নেন।

শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত ২৫ সেপ্টেম্বর ফুলবাড়ি ইউনিয়ইেরনর হেতিমগঞ্জ এলাকায় মাইক্রোবাসের ধাক্কায় এক পথচারি আহত হয়ে সোমবার (২ অক্টোবর) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওসমানী হাসপাতালে মারা যান। ওই ব্যক্তির পরিবারের সাথে শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সমঝোতা হয় এবং কোন ধরণের আইনী প্রক্রিয়ায় না যাওয়ার কথা জানান নিহতের পরিবার। এরপর পরিবারের সদস্যরা নিহত ব্যক্তির লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়া দাফনের আবেদন করে। এজন্য গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলামের স্বাক্ষরের প্রয়োজন হয়। কিন্তু নানা অজুহাতে তিনি সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। সোমবার ওসি জানান, তিনি স্বাক্ষর দিতে পারবেন না। এর প্রতিবাদে শ্রমিকরা সিলেট-জকিগঞ্জ সড়ক অবরোধ করেন।

এ ব্যাপারে সিলেট জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুহিম জানান, বিষয়টি নিয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ চন্দ্র দাশের সাথে বৈঠক করেছি। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন বিষয়টি সমাধান করে দিবেন। পরে আমরা শ্রমিকদের সাথে বসে ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে রাস্তার অবরোধ তুলে নিয়েছি। সেই সাথে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় ওসি ৫ কর্মকর্তার প্রত্যাহার দাবি করছি।