স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের কথা স্বীকার করলেন ছাত্রলীগ নেতা

ময়মনসিংহে এক স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার ছাত্রলীগ নেতা হামিদুল ইসলাম আকাশ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বুধবার সন্ধ্যায় নগরীর মাসকান্দা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে হাজির করা হলে তিনি গণধর্ষণের ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) উজ্জ্বল কান্তি সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

হামিদুল ইসলাম আকাশ ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র ও ছাত্রলীগ নেতা। গত ২৩ জানুয়ারী শহরের মাসকান্দা এলাকার সেবা মাদক নিরাময় কেন্দ্রের ২য় তলার একটি কক্ষে ওই ছাত্রীকে দুই বন্ধু মিলে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের শিকার মেয়েটি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ মতিউর রহমান একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্রী।

কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) উজ্জ্বল কান্তি সরকার জানান, ময়মনসিংহ নগরীর বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ মতিউর রহমান একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীর সঙ্গে স্থানীয় এক ছেলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এক সময় তাদের মধ্যে সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়। এরপরও ছেলেটি মেয়েটিকে উত্ত্যক্ত করতে থাকায় এলাকার বড় ভাই হিসেবে ওই ছাত্রলীগ নেতার কাছে বিচার প্রার্থী হয় মেয়েটি। পরে ওই ছাত্রলীগ নেতা মীমাংসা করার কথা বলে গত ২৩ জানুয়ারি শহরের মাসকান্দা এলাকার সেবা মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্র নিয়ে যায় মেয়েটিকে। সেখানে হামিদুর রহমান আকাশ ও ওই নিরাময় কেন্দ্রের কর্মকর্তা (মালিক) রাজিব তাকে গণধর্ষণ করে। এ ঘটনায় বুধবার মেয়েটির বড় ভাই থানায় ধর্ষণের অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেন।

তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় গ্রেফতার হামিদুর রহমান আকাশ পুলিশের কাছে তার অপরাধ স্বীকার করেছেন। এছাড়া বৃহস্পতিবার আদালতে ১৬৪ ধারায় নিজের জড়িত থাকাসহ অপর সহযোগীর নাম প্রকাশ করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।