ফটিকছড়িতে আ.লীগের দু’পক্ষে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৭

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে মহাজোট মনোনীত নৌকার প্রার্থী সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এটিএম পেয়ারুল ইসলামের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত সাতজনের গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

সোমবার (১০ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার নানুপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন ফটিকছড়ির থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবুল আক্তার।

গুলিবিদ্ধরা হলেন- সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুল কুদ্দুস (৫০), কাকন (২৭), ছাত্রলীগ নেতা সৈয়দ সৌরভ হোসেন (২৫), আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ এমদাদ হোসেন (৫৬), ছাত্রলীগ নেতা রাসেদ আলম (২৫), যুবলীগ নেতা আজম (২৬) ও নুরুল আমিন(৩০)।

এরা সবাই মহাজোট প্রার্থী নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর পক্ষের নৌকার সমর্থক বলে জানা গেছে। আহতদের প্রথমে নাজিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহমুদুল হককে মহাজোট প্রার্থী নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর সমর্থনকারী কয়েকজন যুবক হুমকি দেয়। খবর পেয়ে ওই আসনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এটিএম পেয়ারুল ইসলাম ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন মুহুরী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। পরে সমর্থকদের নিয়ে মিছিল করে নানুপুর বাজারে পথসভায় বক্তব্য রাখেন তিনি।

একই সময় মহাজোট প্রার্থী নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর সমর্থকরা পাল্টা মিছিল শুরু করলে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে এটিএম পেয়ারুল ইসলাম ও নাজিম উদ্দিন মুহুরীর গাড়িতেও ভাঙচুর করা হয়। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে।
সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

স্থানীয় যুবলীগের এক নেতা নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, ‘নাজিরহাটে নৌকার সমর্থনে সংবাদ সম্মেলন শেষে নানুপুর বাজারে এসে মিছিল করছিলাম। এ সময় আমাদের মিছিলে বাধা দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দীন মুহুরী ও তার সমর্থকরা। এতে সাত নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়।’

তবে প্রতিপক্ষে অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দীন মুহুরী বলেন, ‘গুলির প্রশ্নই আসে না। আমাদের প্রার্থী এটিএম পেয়ারুল ইসলামসহ আমরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাজী মাহমুদুল হকের বাড়ি থেকে ফেরার পথে নানুপুর বাজারে আসলে ভান্ডারীর সমর্থকরা আমাদের ওপর আক্রমণ করে।