সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা ৮ নভেম্বর

অাগামী ৮ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) জাতির উদ্দেশে ভাষণ প্রদানের মধ্যদিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদৎ হোসেন চৌধুরী।

রোববার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন ভবনে সিইসির কার্যালয়ে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদৎ হোসেন বলেন, অাগামী ৮ নভেস্বর তফসিল ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার জাতির উদ্দেশে ভাষণে সেদিন তফসিল ঘোষণা করবেন।

ঐক্যফ্রন্টের তফসিল ঘোষণার তারিখ পেছানোর দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অাজকেই অামাদের তফসিল ঘোষণার সিদ্ধান্ত ছিল। সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে ৮ তারিখ তফসিল ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সবকিছু বিবেচনায় নিয়েই অামরা ৪ তারিখের পরিবর্তে ৮ তারিখে ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

খালেদা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি-না এমন প্রশ্ন এড়িয়ে যান তিনি।

সংসদ নির্বাচনে কত সংখ্যক ইভিএম ব্যবহার করা হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কত সংখ্যক অাসনে ইভিএম ব্যবহার হবে সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে সীমিত অাসনে ইভিএম ব্যবহার হবে। এটাই সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ইভিএম শহরকেন্দ্রিক ব্যবহার করা হবে জানিয়ে শাহাদৎ হোসেন বলেন, ইভিএম ব্যবহারের ক্ষেত্রে অামাদের সক্ষমতা ও ভোটারদের শিক্ষার ব্যাপার অাছে, অামরা ইভিএম ব্যবহার শহরকেন্দ্রিকই করব। ইভিএম বিধিমালায় পদ্ধতিগত বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়েছে।

তফসিল থেকে নির্বাচন পর্যন্ত ৪৫ দিন সময় থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, একটি স্ট্যান্ডার্ড সময় থাকবে। তফসিল থেকে নির্বাচন পর্যন্ত ৪৫ দিনের কাছাকাছিই থাকবে।

বিএনপির গঠনতন্ত্র সংশোধন প্রসঙ্গে অাদালতের নির্দেশনা নিষ্পত্তির বিষয়ে তিনি বলেন, তফসিলের অাগে এই বিষয়টি নিষ্পত্তি করব কি-না সেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। যেহেতু সেটি প্রতিপালনের বাধ্যবাধকতা অাছে, তাই শিগগিরই অামরা সেটি করব।

নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন প্রসঙ্গে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলেও জানান তিনি। এ সময় নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন অাহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

রোববার বিকেলে একাদশ সংসদ নির্বাচনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের বিধিমালা চূড়ান্ত করে নির্বাচন কমিশন।

উল্লেখ্য, ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ করতে চায় ইসি। আগামী ২৮ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে।